টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ। ছেলেদের ব্যাটিংটা ঠিকঠাক থাকলেও অনিয়ন্ত্রিত বোলিং, অধিনায়কের ভুল সিদ্ধান্ত ও দুটি ক্যাচ ফেলার জন্য শ্রীলংকার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় কোনো লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৭১ রানের টার্গেটকে মামুলি বানিয়ে ফেলেন হার না মানা চরিথ আশালনকা (৪৯ বলে ৮০) ও ভানুকা রাজাপাকসে (৩১ বলে ৫৩)। বাংলাদেশের মুশফিকুর (৫৭*) ও
নাইম শেখের (৫২ বলে ৬২ রান) ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭০ প্লাস স্কোর করে। ৫ উইকেটে হারল বাংলাদেশ। তাও ৭ বল হাতে রেখে (১৭২/৫)।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সাধারণত বড় ম্যাচে বল করেন না। কাল তিনি নিজে করতে আসেন বল। ২ ওভারে দেন ২১ রান। উইকেটে স্পিন ধরছিল। সাকিব ও নাসুম সফল ছিলেন। আরও একজন অনিয়মিত বোলার আফিফ ১ ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান। সাকিব ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ১ ওভার বেঁচেই গেছে তার! ম্যাচে এই ব্যাপারগুলো পয়েন্ট আউট হয়েছে।
এখন ২৭ অক্টোবর আবুধাবিতে বাংলাদেশ খেলবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। যারা ইতোমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৫ রানে অলআউট করেছে। আর প্রথম ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপ শুরু করেছে।
ক্রিকেটে একটা কথা আছে। ক্যাচ ড্রপ তো ম্যাচ ড্রপ! আর সেটাই সত্যি হয়েছে। লিটন দাসের ২টি ক্যাচ ড্রপ ছাড়াও ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে ছন্নছাড়া ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হলো। লিটন ১৪.৩ ওভারে আশালানকার ক্যাচ ফেলেন। তার আগে ১২.৩ ওভারে রাজাপাকসের ক্যাচ ছাড়েন তিনি।
সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপে শহিদ আফ্রিদির রেকর্ডও ভেঙেছেন। ৪১ উইকেট এখন সাকিবের। ৩৯ উইকেট নিয়ে সমান সমান ছিলেন আফ্রিদির। এবার গেলেন ছাড়িয়ে। কিন্তু নিশানাকা ও ফার্নান্দোর উইকেট নিয়ে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। আশালানকা ও নিশানাকার ৬৯ রানের জুটি ছিল (দ্বিতীয় উইকেট)। আর রাজাপাকসে ও আশালানকা চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়ে হারিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে। নিশানাকা ২৪ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হন।
তাসকিন আহমেদ এই ম্যাচে ছিলেন না। তার বদলে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ দলে প্রবেশ করেছেন। ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে আসেন নাইম ও লিটন। মোটেও খারাপ ছিল না শুরুটা। বেশ ধীরস্থির শুরু যাকে বলে। উইকেটে মরা ঘাস। বল নেমে নেমে আসছিল। নাইম ও লিটন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন। যদিও ওপেনিংয়ের যাত্রা থামে দলের ৪০ রানে।
লিটন আউট হন ১৬ বলে ১৬ রান করে। সাকিব বেশি দূর যেতে পারেনি। ৭ বলে ১০ রান করে টাইমিং মিসটেক করে বোল্ড হন। নাইম ও মুশফিক তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি উপহার দেয়। আর এটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নাইম ৫২ বলে ৬২ রান করে আউট হয়ে যান। মুশফিক ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন স্কুপ করে পেছনে চার মেরে। নাইমের চতুর্থ ও মুশফিকের ৬ষ্ঠ ফিফটি ছিল এটা।