ডিসেম্বরের শেষাংশে এসে জেঁকে বসেছে শীত। শীতের পাশাপাশি রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। শীতের বাহারি সবজিতে ভরে গেছে বাজার। স্বাভাবিক কারণে সবজির দামও এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এ নিয়ে স্বস্তি দেখা দিয়েছে সব শ্রেণী-পেশার ক্রেতাদের মাঝে। সবজির পাশাপাশি কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দামও। রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশী পুরনো পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং পাতাসহ গাছ পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিদরে। গতকাল রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। কেজিতে ১০ টাকা কমে শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, শিম (সাদা) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। কেজিতে পাঁচ টাকা কমে প্রতি কেজি নতুন আলু ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, পুরনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ঝিঙা ও ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করল্লা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, উসতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এ ছাড়া ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ক্ষীরা ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম কমে আকারভেদে প্রতি পিস বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ (প্রতি পিস) ৩০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি আঁটি কচুশাক পাঁচ টাকা, লালশাক আট থেকে ১০ টাকা, প্রতি আঁটি মুলা শাক আট থেকে ১০ টাকা, পালংশাক আট থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের চেয়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি কাঁচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ঢাকার বাজারে বর্তমানে এক কেজি সাইজ প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১৫০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের এক কেজি ইলিশ ৯০০ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা। ছোট ইলিশ প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ছে তাই দাম বেশি বলে জানান মাছ বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে নদী থেকে ইলিশ গভীর সাগরে চলে যাচ্ছে। এতে জেলেদের জালে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারেও কম আসছে। তাই দামও একটু বেশি।
এ দিকে মাছের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে মুরগির দামও। কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে এসব বাজারে প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ২৬০ থেকে ২৮০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত। বর্তমানে গরুর গোশত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা। এ ছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, ডাল, চাল, চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।