শরীরে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা একটি লেজ নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন বিরল মানবশিশুর জন্ম হয়েছে ব্রাজিলে। পেডিয়াট্রিক কেস রিপোর্টস নামে একটি জার্নালে সর্বশেষ ঘটনাটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে জার্নালে শিশুটির কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
এতে বলা হয়েছে, শিশুটি অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়। তবে এর জন্য শিশুটির শরীরে কোনো জটিলতা ছিল না। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটির শরীরে জন্ডিসের লক্ষণ পাওয়া যায়। শিশুটির শরীরে বাঁ পাশে মাজার নিচ থেকে অবিকল লেজের মতো কিছু একটা নেমে গেছে। আর ওই অংশটির সঙ্গে জোড়া লাগানো আছে গোলাকার আরেকটি অংশ, যার সর্বোচ্চ ব্যাস ৪ সেন্টিমিটার।
আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে শিশুটির শরীরে অন্য কোনো সমস্যা বা ব্যতিক্রমী কিছু আর পাওয়া যায়নি। এই লেজ স্বাভাবিক অবস্থায় শিশুর জন্মের আগ পর্যন্ত থাকে। সাধারণত ভ্রুণের বয়স যখন চার সপ্তাহ হয়, তখন ভ্রুণে ছোট্ট একটি লেজ তৈরি হয়। তবে ভ্রুণের বয়স যখন ১২ সপ্তাহের মতো হয়, তখন শ্বেত রক্ত কণিকায় এই লেজটা শোষিত হয়। বিরল কিছু ক্ষেত্রে, এ শিশুটার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে, শ্বেত রক্ত কণিকায় লেজটার কিছু হয় না এবং ভ্রুণ পরিণত হতে থাকলেও লেজটা তার সঙ্গে থেকেই যায়।
তবে চিকিৎসকরা কোনো জটিলতা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির শরীর থেকে লেজটি ফেলে দিয়েছেন। এই ধরনের লেজে কখনো কখনো মাসল টিস্যুও থাকে। বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন সাময়িকীতে এখন পর্যন্ত ৪০টি এমন ঘটনার খোঁজ পাওয়া যায়। লেজটি ফেলে দেওয়ার পর শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ আছে।