রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

যৌনতায় সুখ পেলেই কেবল বিয়ে!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১
  • ১১৬ বার

আদি জনগোষ্ঠী ‘গোন্ড’। তাদের এক অংশের নাম বাইসন হর্ন মারিয়া। বাইসনের শিং ব্যবহার করার কারণে তাদের এই নামকরণ বলে জানা যায়। এখন অনেকে বন মহিষের বদলে হরিণ বা অন্য কোনও প্রাণীর শিং ব্যবহার করেন। ভারতের ছত্তীসগঢ়ের জগদলপুরের এই জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস, বিয়ের আগে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক আবশ্যক। সেই সম্পর্কে কেউ খুশি না হলে তারা বিয়ে করেন না।

তারা বিশ্বাস করেন, বিয়ের আগে নারী এবং পুরুষের যৌন সম্পর্কই দাম্পত্যের বন্ধন অটুট করে। তাই একে অপরের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে খুশি হলে তবে নারী ও পুরুষের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরও যদি কারও অন্য কোনও নারী বা পুরুষকে ভালো লাগে, তখন তারা বিনা বাধায় বর্তমান সম্পর্ক ছেদ করতে পারেন।

তারা মনে করেন, ভালবাসা না থাকলে সেই সম্পর্ক ধরে রাখার কোনও অর্থ নেই। তাই এক সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য সঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা উভয়েরই আছে। এ ছাড়া বিয়ের আগে কোনও নারীর সন্তান হলে, তাকেও খুব স্বাভাবিকভাবে আপন করে নেয় পুরো পরিবার।

আবার কোনও নারীর স্বামীর মৃত্যু হলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তার জন্য পাত্র খোঁজেন। জমকালো বিধবাবিবাহের আয়োজন করা হয়। এক ধরনের বিশেষ উৎসবও রয়েছে তাদের। যেখানে ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত অবস্থায় পুরুষ ও মহিলারা উল্লাসে মাতেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত ব্রিটিশ আমলা ডাব্লিউভি গ্রিগসনের বইয়ের সূত্র ধরে সম্প্রতি এই জনগোষ্ঠীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। গ্রিগসনের লেখা ‘দ্য মারিয়া গোন্ডস অব বস্তার’ দীর্ঘ দিন ধরে বিশ্বের নামী বিশ্ববিদ্যালগুলোর পাঠ্যক্রমে রয়েছে। সেই বই যাচাই করে দেখা গেছে, এখনও সেইসব নিয়ম মেনে চলে এই জনগোষ্ঠী।

তবে এই জনগোষ্ঠীর কথা যত ছড়িয়েছে তাদের জীবনযাত্রা দেখতে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ক্রমশ শহুরে সভ্যতা ও বিদেশি পর্যটকদের ভিড় এই জনগোষ্ঠীর মানুষের মনে অন্য রকম প্রভাব ফেলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com