পাকিস্তানের মুলতানের একটি আদালত গতকাল শনিবার ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা) আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জুনায়েদ হাফিজকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। মুলতানে অবস্থিত বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক জুনায়েদ। গতকাল শনিবার মুলতানের আদালতে অতিরিক্ত জজ কাশিফ কাইয়ুম জুনায়েদকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
৩৩ বছর বয়সী জুনায়েদ হাফিজ মহানবী মুহাম্মদ (স.) এর বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কথিত ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিচারকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। বিচারকার্য শেষে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন অতিরিক্ত সেশন জজ কাশিফ কাইয়ুম। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে। নিউ সেন্ট্রাল জেল মুলতানে উচ্চ নিরাপত্তা সম্বলিত ওয়ার্ড নাম্বার দুইয়ে রাখা হয়েছে হাফিজকে।
প্রসঙ্গত জুনায়েদ ছিলেন ৫ পাকিস্তানি মেধাবী শিক্ষার্থীর একজন, যারা যুক্তরাষ্ট্রে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে তিন বছর পড়াশোনা করেন তিনি। দেশে ফিরে বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখানে প্রতিক্রিয়াশীল পরিবেশ থাকলেও জুনায়েদ স্বাধীন চিন্তার চর্চা করতেন। একই সঙ্গে নারী অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন তিনি।
পিটিভি পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘দি হি তো হ্যাই’ সিরিয়ালের লেখিকা কাইসারা শাজরাজকে জুনায়েদ অতিথি শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ করেন। ওই সিরিয়ালে ‘সমর্থন’ দেওয়ার জন্য জুনায়েদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ তোলা হয়।