ছাপার কাগজের দাম বাড়তে থাকায় পত্রিকার ভবিষ্যৎ ফিকে হতে শুরু করেছে। কাগজের মূল্য শতকরা ৫০ ভাগ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পত্রিকা ছাপানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সম্প্রতি বেশকিছু পত্রিকা খরচ কুলাতে না পেরে বন্ধও হয়ে গেছে। এক ব্রিটিশ কাগজ ব্যবসায়ী বলছেন, এক বৃদ্ধ মানুষ, যিনি চলার পথ সুগম করেছেন, এটা অনেকটা তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার মতোই বিষয়। ইকোনমিস্ট।
ছাপাখানাগুলোতে যে কাগজ ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশ্বের প্রায় সব জায়গায়ই এগুলোর মূল্য বেড়ে গেছে। মুম্বাই থেকে সিডনি- সর্বত্রই এই মূল্যবৃদ্ধির জোয়ার প্রায় একই রকম। বিজ্ঞাপনগুলো অনলাইনে যাওয়ার আগে যখন পত্রিকার সময় ভালো ছিল তখন ছাপাখানাগুলোর সঙ্গে পত্রিকার সম্পর্ক বেশ জোরালো ছিল; কিন্তু এখন বিজ্ঞাপন তথা প্রচারের বিষয়গুলো অন্যভাবে হচ্ছে। তাই সম্পর্কগুলো লেনদেননির্ভর হয়ে উঠেছে। তাই পরিস্থিতিও এখন অনেকটাই বদলে গেছে।
পত্রিকাগুলোতে পাতা কমে যাওয়ার কারণে কাগজের কারখানাগুলো অনেক বছর ধরেই বেহাল। সেগুলো হয় ডিজিটাল হয়ে গেছে, নয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে পত্রিকার কাগজের মূল্যবৃদ্ধির প্রাতিষ্ঠানিক লড়াই অব্যাহত রয়েছে। যেসব ছাপাখানায় মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো অভ্যন্তরীণভাবেও বিপাকে পড়েছে। এর পরও অনেকে শত শত কোটি ডলার ব্যয় করে আনা ছাপাখানার বড় যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে দ্বিধায় পড়ে গেছেন।
তবে নানা রকম পরিস্থিতির কারণে এই দ্বিধাটাও কমতে শুরু করেছে। কলকারখানাগুলো পত্রিকার ক্ষমতাকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে এবং বৈচিত্র্য আনছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নর্স্ক স্কগ নামে নরওয়েভিত্তিক একটি কাগজের ফার্মের কথা। গত জুনে তারা জানিয়েছে যে, নিউজিল্যান্ডে তাসমান মিল নামে তাদের প্রায় ৬৬ বছরের একটি পুরোনো মিল বন্ধ হবে।
অনেক কলকারখানা ই-কমার্স সেবার উদ্দেশ্যে তাদের বিভিন্ন যন্ত্র মোড়ক তৈরির মেশিনে রূপান্তর করছে। ইউপিএম নামের একটি ফিনিশ প্রতিষ্ঠান এ বছর তুরস্কের একটি কনটেইনার বোর্ড ও মোড়ক তৈরির প্রতিষ্ঠানের কাছে ওয়েলসের শটোন নিউজপ্রিন্ট কারখানা বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।