শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা দমন-পীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বত্র ছাত্র ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কথা হলে তিনি এ আহবান জানান।
নূর বলেন, আমাদের উপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে তা পাকিস্তানি বর্বরতাকেও হার মানাবে।
আমাদের দু’জন কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর পর ডাকসুর ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়েছে। রুম থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মাঠের মধ্যে রড, লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ওপর পরপর তিন দফায় হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত না হওয়া পর্যন্ত তারা আমাকে পেটাতে থাকে।
তিনি বলেন, বিরোধী মতকে দমন করতে তারা আমাদের ওপর বারবার এ হামলা চালাচ্ছে। এখন যদি ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে ভবিষ্যতে তারা পার পেয়ে যাবে। এখনই সময় ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।
ছাত্র সমাজের অধিকার আদায় ও তাদের কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে তিনি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র ঐক্যের আহ্বান জানান।
ভিপি নুর বলেন, গতকাল আমাদের উপর যখন প্রথম হামলা হয় সাথে সাথে আমি ভিসি স্যারের সহকারী মোজ্জাম্মেল ও আহসানকে জানাই। তারপরও তারা আমাদের সাহায্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এদিকে ভিপি নুরুল হক, আমিনুল ইসলাম এবং এপিএম সোহেলকে আইসিইউ থেকে বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর তুহিন ফারাবি আইসিইউতে আছেন। তার এখনো জ্ঞান ফিরেনি।
আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দীন বলেন, ফারাবির অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। সকালে জ্ঞান ফেরার কথা থাকলেও এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি।
চিকিৎসকদের কথা মতে আজ সকাল ৬টা পযন্ত নাগাদ তার জ্ঞান ফেরার কথা থাকলেও এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি।
একইভাবে হামলায় ঘটনায়, নাজমুল হাসান, রবিউল, আমিনুলের অবস্থাও গুরুতর। আহত হয়ে হাসান আল মামুন, আতাউল্লাহ বেহেস্তি, রবিউল, মেহেদি হাসান, কামাল হোসেন সুমন, রাসেল, মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, মশিউর রহমান, রাশেদ খান, আবু হানিফ, নাঈম আহসান, আদিব আরিফসহ অনেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।