করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এক বছরের বিরতির পর আবারও মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ছয় দল নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ২০ ফেব্রুয়ারি। শুরু হতে এখনো হাতে এক মাস বাকি। কিন্তু করোনার পরিস্থিতি ও ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনায় ছোট হতে পারে দলের সংখ্যা। একই সঙ্গে কমতে পারে ভেন্যুর সংখ্যাও।
এবারের বিপিএল তিনটি ভেন্যুতে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই সঙ্গে ছয়টি দল নিয়ে হওয়ার কথা ছিল এবারের আসর। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে গিয়ে কোয়ারেন্টিন জটিলতায় পড়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এরপর ফিরেও তেমন সময় পাবে না। কেননা ফেরার পাঁচদিন পরই মাঠে গড়াবে বিপিএল। আর শেষ হলেই আফগানিস্তান সিরিজ। এরপর সারা বছরই থাকবে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। এমতাবস্থায় দল কমিয়ে আসরটি ছোট করতে পারে বোর্ড।
শনিবার বিপিএল নিয়ে বোর্ড সভা হওয়ার কথা থাকলেও নিউজিল্যান্ডে থাকা দল নিয়ে শঙ্কা জাগায় পুরো সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঠিকঠাক ঠাই পায়নি বিপিএল। তাই আগামী ২১ তারিখ নিউজিল্যান্ডে থাকা দলের সবশেষ আপডেট জানার পর বিপিএল নিয়ে নতুন বৈঠক বসে সিদ্ধান্ত নিবে বোর্ড। সভা শেষ বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিপিএল কীভাবে করব? এটাও আমরা ২১ তারিখ সিদ্ধান্ত নিব।’
তিনি বলেন, ‘বিপিএলের দুটি ইস্যু আছে। এটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, বিপিএলের সঙ্গে তুলনা হয় না। আবার আফগানিস্তান যে আসবে ওটাও ওয়ানডে সুপার লিগ। এই দুই সিরিজের চেয়ে তাই বিপিএল গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে, বিপিএলটা তাই গুরুত্বপূর্ণ।’
নিউজিল্যান্ডে থাকা ক্রিকেটারদের রেখে বিপিএল করা সম্ভব না। কেননা ক্রিকেটারদের আয়ের অনেক বড় উৎস হতে পারে এটি। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘কীভাবে করব বিপিএল? কতটুক সময় পাব? আমরা যে পরিকল্পনা করেছি সে অনুযায়ী না-ও হতে পারে। কাটছাঁট করা লাগতে পারে। এমন হতে পারে- যারা ওখানে আছে ওদের বাদ দিয়ে বিপিএল চালু হয়ে যাবে। নিউজিল্যান্ড থেকে আসার পর ২-৪ দিনের বিরতি দেওয়া হবে। তারা পরে যোগ দিবে এবং পুরো পারিশ্রমিক পাবে। আর্থিক কোনো ক্ষতি হলে বোর্ড তা পরিশোধ করবে। এটা করব বলিনি, তবে এমন সুযোগ আছে।’
তিনটি ভেন্যুতে ট্রাভেল করতে ছয়দিন লাগবে। সেক্ষেত্রে ভেন্যু কমলে সুবিধা বাড়তে পারে এমনটাই আভাস দিয়ে রেখেছেন বিসিবি প্রধান। একই সঙ্গে ছয় দলের জায়গায় পাঁচ দল রাখা নিয়েও আলোচনা করবে তার বোর্ড। তবে যদি নিউজিল্যান্ড থাকা ক্রিকেটাররা নাও খেলতে পারেন। তবুও তাদের জন্য আর্থিক ব্যবস্থা রাখতে চায় বোর্ড।