মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন

দেশের জনসংখ্যা ও কতিপয় সমস্যা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৪৩২ বার

১৯৬০-এর দশকের প্রথমার্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রবীণ অধ্যাপকরা বেশ উদ্বেগের সাথে বলতেন- ‘উই আর সিটিং অন এ পপুলেশন টাইম বম্ব’ (আমরা জনসংখ্যা টাইম বোমার ওপর বসে আছি)। ১৯৬০ সালে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৪.০১ কোটি এবং ১৯৬১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৫.০৮ কোটি। ১৯৫০-এর দশক থেকে বর্তমান বাংলাদেশে (তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। এ কার্যক্রম অদ্যাবধি চলছে। এ সত্ত্বেও দেশের জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদম শুমারির হিসেবে ছিল ১৫.২৫ কোটির ওপরে। বর্তমান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬.৩৮ কোটিতে। সর্বমোট প্রায় ১৩০১৭০ বর্গকিলোমিটার ভূমি-আয়তনের এই দেশে এ এক বিশাল জনসংখ্যা যার গড় ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১২৫৮.৪৪ জন। দেশের মোট জনসংখ্যা ও এর ঘনত্ব বেড়েই চলেছে। দেশের আয়তন একই আছে। দেশে গণতন্ত্র থাকলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। দেশে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্রও নেই। ধর্ম যে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিকতার শিক্ষা দেয় তাও নেই।

দেশের আয়তনের অনুপাতে এই বিশাল জনসংখার কুফল আমরা ভোগ করছি। জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৯.২৬ কোটিতে। মনে হয় বাংলাদেশের জনসংখ্যা যখন ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রায় ১১.১৫ কোটি এবং দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮৫৬.২৩ জন তখনই জনসংখ্যা নামক ‘টাইম বম্ব’টির বিস্ফোরণ ঘটেছে। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কী আছে? আমাদের জনগণকে খেয়ে-পরে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি। তবে দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী কী জীবনমানে বেঁচে আছে এবং দেশে কী মাপের ধনবৈষম্য বিরাজ করছে সেটিও বিচার্য বিষয়। মানব জীবনে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই শেষ কথা নয়। অর্থনীতিবিদরা বলেন, আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে আমরা ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ পাবো। বাস্তবতা হচ্ছে- জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করা যাচ্ছে না। যে কারণে জনাকীর্ণ এই দেশ আজ যেকোনো সরকারের পক্ষেই প্রায় আনগভার্নেবল হয়ে পড়ছে।

আজকে দেশের সর্বত্রই জনজট, যানজট একটি বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে। রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে, কর্মনিয়োগে, শিক্ষাঙ্গনে, চিকিৎসাঙ্গনে, বিচারালয়ে, রাজনীতি অঙ্গনে সর্বত্রই। শহর, বন্দর, হাটবাজার কোথাও পা রাখার যো নেই। চিরচেনা মায়াঘেরা গ্রাম ছেড়ে বিপন্ন মানুষ দু’মুঠো ভাতের জন্য বহুমুখী সমস্যা জর্জরিত জনাকীর্ণ অথচ চোখধাঁধানো শহরের দিকে ছুটছে। জনসংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে রাস্তাঘাট যেমন কিছু বেড়েছে তেমনি যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে বহুগুণ। রাস্তাঘাট এবং যানবাহনেরও বেহাল দশা। যে কারণে সড়কপথে, রেলপথে, জলপথে, বিমানপথে, সর্বত্রই মানুষের নিয়ন্ত্রণাতীত ভিড়। ঢাকা শহরে ২০ মিনিটের পথ চলতে যানজটের কারণে ২ ঘণ্টা লেগে যায়। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলা শহরে যেতে ২ ঘণ্টার পথ কয়েক ঘণ্টায় পাড়ি দেয়া যাবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। ২ ঘণ্টাও লাগতে পারে, আবার সারা দিনও লাগতে পারে। এটা নির্ভর করছে রাস্তায় কোন দিন কেমন যানজট হবে এবং রাস্তার ফিজিক্যাল কন্ডিশন কেমন, তার ওপর। তাও আবার সময়মতো গাড়ি পাওয়া যাবে কি না, সেটাও কথা। দেশময় একই অবস্থা বিরাজ করছে। ঈদ-পার্বণে গন্তব্যে যেতে যে কেমন জনদুর্ভোগ পোহাতে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্র সবারই জানা।

বিভিন্ন অফিস আদালতে ও মিল-কারখানায় ছদ্ম বেকারত্ব একটি লোকসানি সমস্যা। যে কাজ ১০ জনে করতে পারে সে কাজে ১৫ থেকে ২০ জন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। কারণ লোকজনকে আয়রোজগার করে খেয়ে পরে বাঁচার সুযোগ দিতে হবে। বিশেষত সরকারি অফিস আদালতে এ সমস্যা প্রকট। এ করেও পার পাওয়া যাচ্ছে না। কর্মক্ষম সবাইকে কাজ দেয়া যাচ্ছে না। এরপরও দেখা যায়, দেশে বেকারত্ব এমনই প্রকট, সমস্যা যে পাঁচ-দশটি যেকোনো শূন্য পদের বিপরীতে অগুনতি দরখাস্ত পড়ে। এ কারণে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির ঘটনা ঘটে। কাকে ফেলে কাকে কাজ দেবে? কাজেই আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের পছন্দের লোক- হোক সে অযোগ্য, কাজ পেয়ে যায়। ফলে নিয়োগপ্রাপ্ত অযোগ্য লোকরা কর্মক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি করে। অর্থনীতির নিয়মে কর্মক্ষেত্রে জনজটের কারণে উৎপাদন হ্রাস পায়।

দেশে শিল্পকারখানা তেমন গড়ে ওঠেনি। গুটিকয়েক শ্রমঘন মিলকারখানা যা-ও আছে, সেখানে নানাবিধ কারণে যেমন শ্রমিক-মালিক বনিবনার অভাবে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে প্রায়ই হরতাল, অবরোধ, ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটছে। উপরন্তু দেশীয় মিলকারখানায় দেদার বিদেশী কর্মচারী-কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। এর প্রধান কারণ দেশে সাধারণ শিক্ষার প্রসার কিছুটা ঘটলেও তা অপরিকল্পিত এবং বাজার চাহিদা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষার তেমন প্রসার ঘটছে না। এদতসত্ত্বেও মুষ্টিমেয় যা কিছু কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলেমেয়ে আছে, তাদেরও অনেকে বেকার বসে আছে। কারণ, সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের মতো এরাও দেশে মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না। ফলে কর্মনিয়োগে উপেক্ষিত হচ্ছে।

দেশে সর্বপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা প্রায় প্রতি বছরই কমবেশি বাড়ানো হয়। এ সত্ত্বেও দেখা যায়, দেশীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিশেষত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ফলে অনিয়ম, হৈ-হট্টগোল, রাজনৈতিক দলাদলি, মারামারি-কাটাকাটি জাতীয় বিশৃঙ্খলা যাচ্ছেতাই রকম বেড়ে চলেছে। ছাত্ররাজনীতি অনুমোদিত বলে সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা নাজুক। রাজনৈতিক দলাদলি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের অনুগত শিক্ষার্থীরাই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে। ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়। অধিকন্তু সীমিত পরিসরের শ্রেণিকক্ষে যেহেতু স্থানসঙ্কুলান হয় না, শিক্ষার্থীদের একটা বিরাট অংশ থাকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে। এরা সাধারণত পাঠবিমুখ দলীয় ছাত্ররাজনৈতিক নেতাকর্মী। এরা সাধারণত টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ইত্যাদি নিয়ে হরহামেশাই মারামারি, খুনখারাবিতে লিপ্ত থাকে। ফলে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ প্রায় অচল। এর অনুষঙ্গস্বরূপ সৃষ্টি হয় সেশন জট, পরীক্ষা জট জাতীয় ইত্যাকার জট সমস্যা।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও দেখা যায়, পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের জন্য দেশের বৃহৎ দগুলোর চার-পাঁচ হাজার প্রার্থী লড়তে প্রস্তুত। এ সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে দলকে হিমশিম খেতে হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক মনোনয়ন বাণিজ্য ও টাকার খেলা; রোপিত হয় দুর্নীতির বীজ। নির্বাচনে টাকা খরচ করা এক লাভজনক বিনিয়োগ আজকাল। টাকার বিনিময়ে অর্জিত সংসদ সদস্যপদ বিজয়ীরা বিভিন্নভাবে সমাজকে কলুষিত করে প্রার্থিতা ক্রয়ের টাকার বহুগুণ লণ্ঠনে ব্যাঘ্র হয়ে ওঠে। তাই দেশে চলছে লুটপাটের রাজত্ব। বাড়ছে দুর্নীতি ও সামজিক অস্থিরতা।

মর্মান্তিক ব্যাপার হলো, এই স্বাধীন দেশ ছেড়ে যুবক-যুবতীরা বিদেশে পালাচ্ছে। মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছে, বন্দী হচ্ছে, মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরছে। কেউ বা সমুদ্রপথে ইউরোপ পাড়ি দিতে গিয়ে সলিল সমাধি বরণ করছে। দেশে লাভজনক কর্মসংস্থানের অভাব কতটুকু প্রকট হলে এ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। রেমিট্যান্স পাওয়ার আশায় আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে এহেন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ কিংবা মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

জনবহুল দারিদ্র্যপীড়িত সমতল নিম্নাঞ্চল এ দেশটিতে সমস্যা বহুবিধ। প্রাকৃতিক দৈবদুর্বিপাক দেখা দিলে দেশের নগ্ন চেহারা ফুটে ওঠে। একে তো জনবহুল কৃষিপ্রধান এই ছোট্ট দেশটিতে কৃষকের জন্য ক্রমবর্ধমান কৃষি জমির সঙ্কট প্রকট, তদুপরি প্রায়ই নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আবাসন সঙ্কট লেগেই আছে। উপকূল অঞ্চলে ঝড়ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডো আঘাত হানলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এজাতীয় দৈবদুর্বিপাকে এত লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে, সীমিত সম্পদের এই দেশের অপচয়কারী ও দুর্নীতিবাজ সরকারের পক্ষে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আরো আছে, এসব সঙ্কট পুঁজি করে কিছু দুর্বৃত্তের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার বাসনা। এর ফলে শুরু হয় চুরি-চামারি, লুটপাট, সম্পদ আত্মসাতের মহোৎসব। এতে করে দুর্যোগ মোকাবেলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ বলতে হয়- ২০০৭ সালে সিডর এবং ২০০৯ সালে আইলা, বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে, এর ক্ষয়ক্ষতি সরকার এখনো পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি।

প্রলয়ঙ্করী বন্যা হলে তা সামাল দিতে কর্তৃপক্ষকে হিমশিম ক্ষেতে হয়। এসব সামাল দিতে ত্রাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা ও একই সাথে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। বিগত ২০১৭ সালের বন্যায় চট্টগ্রামে কয়েক ট্রাক ভর্তি সরকারি চাল পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা কম হলে একটা কথা ছিল। বিশ্বের সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ এ দেশে সরকার আন্তরিক না হলে এজাতীয় সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা বাড়বেই। কথা এটাও ঠিক, কেবল সরকারের আন্তরিকতাতেই সব সমস্যার সমাধান হয় না, যদি না দেশের আপামর জনগণ সততার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। সরকারের সততা জনগণকে এ কাজে সহযোগিতার হতে বাড়াতে বহুলাংশে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু বাস্তবতা এই যে, এজাতীয় সমস্যা মোকাবেলায় সরকার সচরাচর সততার সাথে অগ্রসর হয় না। সরকারে ও জনজীবনে নৈতিক স্খলন ঘটেছে। যে কারণে শহরে, বন্দরে, গ্রামে প্রভাবশালীদের দুর্নীতি-দখলদারিত্ব ও সম্পদ আত্মসাৎ প্রবণতা ব্যাপক।

আজকে সরকার উন্নয়নের দম্ভ করছে। এ যে কতটা ফাঁকাবুলি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিস্তৃত গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক জনদুর্ভোগ দেখলেই বুঝা যায়।

শহরাঞ্চলে মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে, অথচ গ্রাম ও গ্রামের মানুষ উপেক্ষিত। জনসম্পদের উন্নয়ন হচ্ছে না। দেশ ভুলপথে এগিয়েছে বলেই আমরা আর জনসংখ্যা ‘টাইম বম্বে’-এর ওপর থেকে নামতে পারিনি। আমরা জনসংখ্যা বোমা বিস্ফোরণের ফলাফল ভোগ করছি। সুসম অর্থনীতি, সুশিক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এমনিতেই নেমে আসে। যেমনটা ইউরোপে ঘটেছে; ইউরোপের কোনো কোনো দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক। সরকার অনুসৃত ভ্রান্তনীতির কারণে জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত নদীভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির দেশে এহেন পরিস্থিতি দেখার মতো কাণ্ডজ্ঞানহীন কেউ হতে পারে না। দেশের সরকারও নয়।

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com