বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

আবারো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১২৮ বার

পঞ্চগড়ে আবারো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠাণ্ডার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। শনিবার গত দু’দিনের তুলনায় এখানকার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।

শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার এখানে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

পশ্চিমা বায়ু ও উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় হঠাৎই পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে এখানে কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। সকালে সূর্য উঠলেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় রোদের তেজ উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কাজ না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শীত বেড়ে যাওয়ায় জেলার অসহায়, ছিন্নমূল ও দিনমজুর মানুষেরা অনেক বিপাকে পড়েছে।

এছাড়া, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রাসেল শাহ জানান, দুদিন পর আবারো তাপমাত্রা কমেছে। শনিবার সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ থাকায় ঠাণ্ডা বেড়েছে। আগামী তিন-চার দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ৩ থেকে ৫ নটিকেল মাইল বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। ভোরের দিকে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের আর্দ্রতা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে।

এদিকে জেলায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষ রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন প্রায় ৩৪ হাজার শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও শীতার্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com