১১৯ বছর পর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ নিচে নামল সোমবার সকালে। ১৯০১ সালের পর সোমবারের দিল্লিকে, ভারতের আবহাওয়া দফতর ‘শীতলতম’ দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আইএমডি তথা কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক প্রধান এদিন পিটিআইকে বলেন, “আমরা দেখেছি দিল্লিতে দিনের তাপমাত্রা সাধারণ মাত্রার চেয়ে অর্ধেক থাকে। কিন্তু সোমবার সকালে অনেক বেশি পারদ নেমেছে। তাই আজকের দিনকে ডিসেম্বরের শীতলতম দিন হিসেবে ঘোষণা করলাম।” তিনি যোগ করেছেন, গত ১১৯ বছরের মধ্যে ডিসেম্বর মাসের হিসেব ধরলে দিল্লিতে আজ (সোমবার) সকালের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি নিচে নেমেছিলো। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সকালের তাপমাত্রার নিম্নগতি রেকর্ডেড হয়েছে। সেই মোতাবেক সফদরজঙের তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি আর পালামের ছিলো ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মরশুমে দিল্লিতে রাতের দিকে পারদ সূচক টানা এক সপ্তাহ ৪ ডিগ্রির নিচে। গত সপ্তাহেই রাতের গড় তাপমাত্রা ২.৪ থেকে ২.৭ পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছিলো। এদিন পিটিআইকে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
ঘন কুয়াশার চাদর জড়িয়ে এদিন দিল্লি ও তার পড়শি এলাকার ঘুম ভাঙে। যার জেরে বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রভাবিত হয়েছে ট্রেন ও বিমান চলাচল। দিল্লিগামী কম-বেশি ২১টি বিমানের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে, ৬টি বিমান বাতিল করা হয়েছে আর একাধিক বিমান দেরিতে চলছে। নয়া দিল্লিগামী রাজধানী, শতাব্দী ও দুরন্তের মতো ট্রেনগুলো দেরিতে চলছে। শনিবার থেকেই আইএমডি, সে রাজ্যে অত্যাধিক শৈত্যপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি করে রেখেছে।
আইএমডি আরো জানিয়েছে এই শৈত্যপ্রবাহ আরো দু’দিন চলবে। যদি দিল্লি ও এনসিআর এলাকার গড় তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি (সর্বোচ্চ) রেকর্ডে করা হয়, তাহলে তা হবে ১৯৯৭-এর পর সবচেয়ে শীতলতম ডিসেম্বর, জানিয়েছে আইএমডি। ১৯০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মাত্র চার বার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে নেমেছিল। ১৯১৯, ১৯২৯, ১৯৬১ আর ১৯৯৭ সালে, ২০ ডিগ্রির নিচে চলে গেছিলো পারদ সূচক, বলে আইএমডি সূত্রে খবর।
সূত্র : এনডিটিভি