আমেরিকার মোট জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠেছে। মঙ্গলবার প্রাপ্ত সর্বশেষ এ তথ্য অনুযায়ী এটাই হচ্ছে এ যাবতকালে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশী দেনা। এটি একটি অশুভ আর্থিক মাইলফলক-যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থাকে দৃশ্যমান করলো। আর এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলো দ্রব্যমূল্য লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি এবং সুদের হার বৃদ্ধির পরম্পরায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে আরো উদঘাটিত হয়েছে যে, আগের ধারণাকে একেবারেই পাল্টে দিয়েছে করোনা মহামারি থেকে সমগ্র জনগোষ্ঠিকে উদ্ধারকল্পে বহুমুখী অর্থ-সহায়তার কারণে। যার পরিমাণ ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সমুদয় অর্থই ধার করা হয়েছে।
ঋণ গ্রহণের ব্যাপারে কেউই আপত্তি করেননি। অধিকন্তু অর্থনীতিবিদরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মহামারী থেকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে এই ঋণের বিকল্প নেই। যদিও বাস্তবতার নিরিখে আমেরিকার সমগ্র বার্ষিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের চেয়ে ঋণের এই বোঝা অনেক বেশী-যার সমন্বয় ঘটানো খুবই কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তবে আশাবাদি অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা অর্থ মন্ত্রণালয়কে স্বস্তি দিচ্ছেন যে, আর্থিক কর্মকান্ড চাঙ্গা হচ্ছে, সুদের হার এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, তাই ভয়ের কোন কারণ থাকতে পারে না। ব্যয়-বরাদ্দে সাশ্রয়ী হতে হবে। ব্যয়ের বাহুল্য কমাতে হবে। বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশকে আরো বিস্তৃত করা সম্ভব হলে ঋণের দায় থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদরা।
উল্লেখ্য, অনেক আগে থেকেই দেনার দায় কমাতে অথবা ক্রমান্বয়ে সমন্বয় ঘটাতে প্রেসিডেন্টরা অঙ্গিকার করলেও প্রকৃত অর্থে দায় বেড়েই চলছে। কারণ, মাঝেমধ্যেই এমন কিছু ব্যয় সামনে আসছে-যা কেউ কল্পনাও করেননি। করোনা মহামারি তেমনি একটি বিষয়-যা ভয়ংকর একটি দুর্যোগে পতিত করেছে গোটা মানবতাকে।