ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের ভেতরে অন্তত এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হলে সীমান্ত এলাকায় ইন্টারনেট সেবাও থাকবে না।
রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা বিটিআরসি থেকে এ ব্যাপারে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বলা হয় ওই চিঠিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বিবিসি বাংলাকে বলেন, তার মন্ত্রণালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
‘সিদ্ধান্তটি সরকারের। সরকার বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে। বিটিআরসি কি নির্দেশ পেয়েছে, কি বাস্তবায়ন করছে, সেটি বিটিআরসি বলতে পারে’।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক অবশ্য এ চিঠি দেবার কথা বিবিসির কাছে নিশ্চিত করেছেন।
‘এটা একটা সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে উচ্চ পর্যায় থেকে। কিছুটা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে ইন্ডিয়াতে। সেটি বোধ হয় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। তবে আমরা কিছু করিনি এখনো। প্রক্রিয়াধীন আছে – কি করতে পারি চিন্তা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে যেন কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি না হয়, কেউ যেন প্রোপাগান্ডা বা গুজব রটনা না করতে পারে, সেজন্য সরকার তৎপর আছে।
কিন্তু এর সাথে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের কি সম্পর্ক এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্ডার বিটিএস তো, এপাশের কথা ওপাশে যায়। হয়তো কিছু প্রোপাগান্ডা করার মতো খবর সরকারের কাছে আছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট আছে যে, গুজব রটনা করতে পারে। বিটিআরসিকে বলেছে, কি করা যায়।’
বিটিএস বা বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন ব্যবহার করেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়।
জহুরুল হক বলেন, তারা কিছু করেননি এখনো, তবে কি করা যায় ভাবছেন তারা।
‘কি সক্ষমতা আছে। কিভাবে করবো। করলে কি প্রভাব পড়বে, মানুষের ক্ষতি হবে কি-না। সেটা ভাবছি, ভেবে সিদ্ধান্ত নিবো।’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গুজব যেন না হয়, কোনো অসন্তোষ বা বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সেজন্য কি করা যায় তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা।
‘মোবাইল বন্ধ হলে মানুষের কষ্ট হবে সেটিও আমরা ভাবছি। অনেক গ্রাহকের সমস্যা হবে। সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কিছু করলে সাময়িকভাবে করা হবে। পুরো নেটওয়ার্কের কিছু হবে না। গুজবের সম্ভাবনা না হলে কিছু করবো না।’
তিনি জানান, তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলে সীমান্ত এলাকায় যে বিপুল সংখ্যক টাওয়ার আছে, সেগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করতে হবে।
‘আমাদের টেকনিক্যাল টিম বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখছে,’ বলেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি