তৌসিফ ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের (লাইসেন্স নম্বর-১৩৯১) বিরুদ্ধে ওমরা যাত্রীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। দফায় দফায় তারিখ দিয়েও বেশ কিছু ওমরাহযাত্রীকে সৌদি আরব পাঠায়নি এজেন্সিটি। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে তারা এখন চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
জানা যায়, হজ ও ওমরায় পাঠানোর নামে দীর্ঘ দিন থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করে আসছে তৌসিফ ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস। এজেন্সিটির ওমরার লাইসেন্স না থাকলেও অন্য এজেন্সির নামে লোক সংগ্রহ করেন তিনি; কিন্তু তাদেরকে সঠিকভাবে ওমরায় না পাঠিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। সর্বশেষ দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার ২৫ জনকে ওমরায় পাঠানোর জন্য টাকা নেন।
তাদেরকে গত ২৭ নভেম্বর থেকে গতকাল ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮-১০ বার ফ্লাইটের তারিখ দেন; কিন্তু কয়েক দফায় ব্যর্থ হন। সর্বশেষ প্রশাসনসহ নানামুখী চাপে গতকাল তিনি ১৫ জনকে ওমরায় পাঠান। আর বাকি ১০ জনকে পাঠাতে ব্যর্থ হন।
ওমরায় না যেতে পারা মো: জিহাদ গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, তৌসিফ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শামিম হোসেন তার কাছ থেকে ওমরায় পাঠানোর জন্য নির্ধারিত টাকা নেন; কিন্তু তিনি গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮-১০ বার সৌদি যাওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেন। এর পরও তিনি আমাকে ওমরায় পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তার দেয়া সর্বশেষ ফ্লাইটের তারিখ অনুযায়ী গতকাল সব প্রস্তুতি নিয়ে আমি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে যাই; কিন্তু সেখান থেকে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল আমার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তিনি এখন নতুন করে আমাকে আগামী ৪ জানুয়ারি পাঠাবেন বলে বলছেন।
জানা যায়, তৌসিফ ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যশোর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তৌসিফ ট্র্যাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের মালিক শামিম হোসেন গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, বিমানের টিকিট-সঙ্কট, দাম বেড়ে যাওয়া ও আর্থিক সঙ্কটের কারণে ওমরাহযাত্রীদের পাঠাতে কিহুটা বিলম্ব হচ্ছে। এ কারণে যাত্রীদের তিন-চারবার তারিখ দিয়েও পাঠাতে পারিনি। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের ভিসা রিনিউ করে আগামী ১৮ জানুয়ারি পাঠাতে পারব বলে আশা করছি।