বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

ভুয়া অ্যাকাউন্টে মেয়র জাহাঙ্গীরের কোটি কোটি টাকা লেনদেন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১০৮ বার

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে ভুয়া ব্যাংক হিসাবের সন্ধান মিলেছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের গাজীপুর কোনাবাড়ি শাখায় খোলা ‘মেয়র, গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ নামে ওই অ্যাকাউন্টে সদ্য বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম লেনদেন করেছেন। কিন্তু গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নামে এমন ব্যাংক হিসাব নেই। ভুয়া এ অ্যাকাউন্টে ‘ফিন-বাংলা এ্যাপারেলস’ এবং ‘জিএসএম কম্পোজিট লিমিটেড’ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অগ্রিম হোল্ডি ট্যাক্স বাবদ দুই কোটি ২০ লাখ টাকা নিয়ে জমা দিয়ে তুলে নিয়েছেন জাহাঙ্গীর।

এ ছাড়া ইস্পাহানী ফুডস নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা ৪০ লাখ ২৫ টাকাও করপোরেশনের অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে তার গোপন অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে আত্মসাৎ করেন তিনি। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান তিনটি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, করপোরেশনের দুজন কর্মকর্তার অগোচরে তাদের নামে ৯১ লাখ টাকার পৃথক দুটি চেক ইস্যু করে সেগুলোও নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন জাহাঙ্গীর। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অ্যাকাউন্টের বিবরণী পাওয়া গেছে। অ্যাকাউন্টটি বর্তমানে বন্ধ। এ সংক্রান্ত সব তথ্য-উপাত্ত আমাদের সময়ের হাতে পৌঁছেছে।

সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ‘প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা’ মো. রেজাউল বারীর নামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে অগ্রিম ৪৫ লাখ টাকার চেক ইস্যু করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অথচ রেজাউল বারী চেকের বিষয়টি জানতেন না। বিষয়টি জানেন না উল্লেখ করে তিনি ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে চিঠি লিখেছেন। একই অনুষ্ঠানের জন্য সিটি করপোরেশনের সাবেক সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নামেও ৪৬ লাখ টাকার চেক ইস্যু করা হয়েছে, যা মোস্তাফিজ জানেন না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মোট খরচ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ টাকা। দুই কর্মকর্তার অগোচরে ইস্যুকৃত চেক দুটি নগদায়নের জন্য অনুরোধ করেন করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া। এ বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আপনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে কথা বলেন। আমি কিছুই জানি না।’

করপোরেশনের রাজস্বের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের নির্দেশে তিনি নিজের কাছে রাখতেন এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কিবরিয়া বলেন, করপোরেশনের কোনো টাকাই আমার কাছে রাখার সুযোগ নেই। এমন অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা।

জাহাঙ্গীরের বক্তব্য : বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। যারা আমাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করেছেন, তারাই এখন নতুন নতুন অভিযোগ তুলছেন। প্রিমিয়ার ব্যাংকে আমার নামে কে বা কারা অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেছেন তা আমার জানা নেই।’

‘মেয়র, গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ নামের অ্যাকাউন্ট লেনদেনের বিবরণী এবং যারা টাকা তুলেছেন তাদের নাম জানানো হলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিটি করপোরেশনে শত শত লোক চাকরি করে। আমি তাদের দেখলে চিনব, আবার নাও চিনতে পারি। আমি যদি নিজেই সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে থাকি তা হলে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরায় নিশ্চয়ই আমাকে দেখা যাবে। আপনারা ব্যাংকের সাহায্য নিয়ে সিসি ক্যামেরা দেখুন।

দুই কর্মকর্তার নামে যথাক্রমে ৪৬ লাখ ও ৪৫ লাখ টাকার চেক ইস্যু করা হলেও তারা তা জানেন না কেন, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশর্তবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আমি করেছি। অনুষ্ঠানের পুরো ভিডিও আছে। খরচের জন্যই টাকা তোলা হয়েছে। কর্মকর্তারা যদি এখন বলেন, তারা জানেন না, তা হলে সেটিও ষড়যন্ত্র।

অগ্রিম হোল্ডি ট্যাক্স এবং লে-আউট প্লান তিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েও কেন সমন্বয় করেননি, এমন প্রশ্নে বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স অগ্রিম নেওয়া হয়নি। এগুলো সবই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

করপোরেশনের পে-অর্ডার জাহাঙ্গীরের অ্যাকাউন্টে জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মেয়রকে লেখা অভিযোগের চিঠিতে জানায়, তাদের প্রতিষ্ঠানের ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন বাবদ ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মেয়র জাহাঙ্গীর হোল্ডিং ট্যাক্স হিসেবে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ টাকা পরে সমন্বয় করার আশ^াস দেন তিনি। মেয়রের নির্দেশে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে তিনটি পে-অর্ডারে মোট ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা দেয় জিএমএস। ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তারিখের ৬৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯০ টাকা এবং ৮৫ লাখ টাকার পে-অর্ডারটি ২৯ জুলাই প্রিমিয়ার ব্যাংকের কোনাবাড়ি শাখায় ‘মেয়র, গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ নামে হিসাবে জমা দেওয়া হয়। আর ১৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪১০ টাকার পে-অর্ডারটি আগস্টের ৩ তারিখ জমা হয়। ব্যাংকের হিসাব বিবরণী অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন হিসাবধারী নিজে, শহিদুল, প্লোটো চাকমা এবং শামীম হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে লেখা চিঠিতে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানী ফুডস লিমিটেড জানিয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠানের লে-আউট প্লানের জরিমানা বাবদ ‘মেয়র, গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ অ্যাকাউন্টের অনুকূলে ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকার পে-অর্ডার করা হয়। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড থেকে ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পে-অর্ডারটি ইস্যু করা হয়, যার নাম নম্বর এমটিবি-১৪৭৪৫৪২। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ ও প্রশাসন থেকে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ওই চিঠি পাঠানো হয়।

আরেক প্রতারিত প্রতিষ্ঠান ফিন-বাংলা এ্যাপারেলস লিমিটেডের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে মেয়র জাহাঙ্গীর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের কথা বলে হোল্ডিং ট্যাক্স হিসেবে অগ্রিম ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এক্সিম ব্যাংকের পে-অর্ডারে ৫০ লাখ টাকা দেয় ফিন-বাংলা। মেয়র এ টাকা পরে সমন্বয় করার আশ^াস দিলেও তিনি সমন্বয় করেননি এবং নতুন করে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধে বাধ্য করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়ার আসাদুর রহমান কিরণ আমাদের সময়কে বলেন, আপনি যা শুনেছেন তা সত্য। প্রিমিয়ার ব্যাংকে ‘মেয়র, গাজীপুর সিটি করপোরেশন’ নামে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ সেই অ্যাকাউন্টে সাবেক মেয়র লেনদেন করেছেন বলে আমরা জেনেছি। ব্যাংক স্টেটমেন্টে দেখা গেছে উনি নিজে (জাহাঙ্গীর) এবং তার লোক শহিদুল, প্লোটো চাকমা ও শামীম হোসাইন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন।

তিনি বলেন, ইস্পাহানী ফুডস লিমিটেডের লে-আউট প্লানের জরিমানা বাবদ ৪০ লাখ ২৫ হাজার টাকা, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং লিমিটেডের ১ কোটি ৭০ লাখ, ফিন বাংলা এ্যাপারেলস লিমিটেডের ৫০ লাখ টাকা হোল্ডি ট্যাক্স বাবদ অগ্রিম টাকা নিয়ে করপোরেশনের হিসাবে জমা দেননি জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া করপোরেশনের সাবেক সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নামে ৪৬ লাখ এবং সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারীর নামে ৪৫ লাখ টাকার চেক ইস্যু করা হলেও তারা বিষয়টি জানেন না।

ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরও বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি বিষয়গুলো তদন্ত করছে। নিশ্চয়ই তদন্তে অনিয়মগুলো বের হয়ে আসবে।

এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন অনুবিভাগ) মোস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী আমাদের সময়কে বলেন, আমরা তদন্ত করছি। বেশ কিছু কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। যাচাই-বাছাইয়ে সবকিছুই বের হয়ে আসবে। এর বেশি কিছু জানাতে পারব না।

জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের খরচ ২ কোটি ১১ লাখ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে খরচ করেছেন ২ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ টাকা। কিন্তু খরচের টাকা তুলে নিয়েছেন নামে-বেনামে চেকের মাধ্যমে। কে-স্পোর্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩টি স্থানে কাউন্টডাউন স্থাপন করতে ৫৪ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন মেয়র। সিটি করপোরেশনের সাবেক সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের নামে একই অনুষ্ঠানের খাত দেখিয়ে ৪৬ লাখ টাকা এবং সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারীর নামে ৪৫ লাখ টাকার চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু এ দুই কর্মকর্তাই তাদের নামে ইস্যুকৃত চেকের বিষয়ে জানতেন না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার মুদ্রণের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির নামে ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ইস্যু করা হয়েছে। ১৭ মার্চ রাজবাড়ী মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠান বাবদ ‘গোল্ডেন কনস্ট্রাকশনের নামে ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭২ টাকার চেক ইস্যু করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে মানুষ দ্বারা জাতীয় পতাকা ও ম্যাপে বঙ্গবন্ধুর ছবি তৈরি করে ওয়ার্ল্ড গ্রিনেজ বুকে রেকর্ডের জন্য ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক কোর্ট বিল্ডিং শাখা গাজীপুরের অনুকূলে ২৩ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকার চেক ইস্যু করা হয়েছে।

করোনা তহবিল আত্মাসাতের অভিযোগ

করোনা মোকাবিলার তহবিল নিয়ে নয়-ছয় করার অভিযোগ রয়েছে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। সংক্রমণ মোকাবিলায় সরঞ্জাম কিনতে ৩৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে কমিটি করা হয়। কাউন্সিলরের অনুকূলে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৯টি চেকে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ইস্যু করা হয়েছে। ৫টি চেক অগ্রিম ভাউচারে নগদায়ন করা হয়েছে। এসব টাকা কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই করপোরেশনের কাছে। কর্মকর্তারা জানান, করোনা মোকাবিলার বিপুল পরিমাণ এ টাকা লুটপাট হয়েছে।

মেয়র ঘনিষ্ঠ ২৩ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট

২০১৮ থেকে ২০২১ অর্থবছর পর্যন্ত মেয়রের ঘনিষ্ঠ ২৩ প্রতিষ্ঠান ১২৯ কোটি টাকার কাজ করে। এ ২৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনে কাজ পায়নি। নতুন করে আর কোনো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সও দেওয়া হয়নি। পুরনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্সও নবায়ন করা হয়নি। মেয়রের ঘনিষ্ঠ ৫ ব্যক্তি ঠিকাদারি সিন্ডিকেট দেখাশোনা করত। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম, আল আমিন, শহিদুল ইসলাম জয়, আশরাফুল ইসলাম রানা, রুহুল আমিন ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মনির। ঘুরে ফিরে এ ২৩ প্রতিষ্ঠানই সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ভাগবাটোয়ারা করত।

গত নভেম্বরে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। পরে তাকে জমি দখল, জনগণের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মতো অভিযোগে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তার অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়। জাহাঙ্গীরের অনিয়ম-দুর্নীতির খতিয়ান অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com