আমাদের দেশে দুর্নীতির শিকড় কতখানি গভীরে প্রোথিত তা আরেকবার বোঝা গেল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) স¤প্রসারণে জমি অধিগ্রহণ কাÐে। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মরক্ষায় বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছে জড়িতরা। তাদের সেই চেষ্টা প্রশাসনিক বাধার মুখে থমকে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এখন তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সিন্ডিকেটের অন্তত দুজনের করা পৃথক দুটি রিটের ওপর হাইকোর্টে শুনানি চলছে।
চাঁদপুর সদর থানার ল²ীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের নেতৃত্বে ওই সিন্ডিকেটে সদস্য মাত্র চার-পাঁচজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্বাচিত সাড়ে ৬২ একর জমির জন্য চিহ্নিত ১৮২টি দলিলের মধ্যে ১৩৯টিই অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যের। সিন্ডিকেটটি এসব দলিল সম্পাদন করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনে খসড়া আইন পাসের পর থেকে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের কাছ থেকে তিনগুণ দরে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা লুটে নেওয়ার জন্য উচ্চমূল্যের এসব দলিল সম্পাদন করে তারা।
অনিয়ম হয়েছে, সেটি ঢাকতে আরও নানা চেষ্টা করা হচ্ছে। এভাবে চললে অনিয়ম বন্ধ হবে না। সরকারের উচিত সব ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রকদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া। তা হলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, অন্যথায় নয়।