সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে লড়তে বিএনপি ও কয়েকটি ছোট দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গত বছর ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর ভোট প্রত্যাখ্যান করেও কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি জোটটি। এ ছাড়াও একাধিক ইস্যু সৃষ্টির পরও কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি ঐক্যফ্রন্ট।
জোটের ব্যর্থতা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঐক্যফ্রন্ট ত্যাগ করে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। শুধু বৈঠক ও প্রেসক্লাবভিত্তিক কয়েকটি কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বছর পার করে জোটটি। ঐক্যফ্রন্টের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বিএনপিসহ জোটের অনেকেই প্রকাশ্যে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
তাদের ভাষ্য, এই জোটের রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি নেই। কেউ কেউ বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই। যদিও গত এক মাসে ঐক্যফ্রন্ট বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে। বর্ষপূর্তি উপলক্ষেও রয়েছে কর্মসূচি।
গত এক বছরে ঐক্যফ্রন্টের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। যে দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে ফ্রন্ট গঠন করা হয়, তা এক বছরেও পূরণ হয়নি; বরং দাবি পূরণ না হওয়ার পরও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং ফল প্রত্যাখ্যান করেও জোটের সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণে আরও বেশি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের।
একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়।