বিশ্বব্যাপী মহামারী চলাকালীন থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে পুনরুদ্ধার ও প্রসার পরিলক্ষিত হয়েছে; তবে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এখন উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক পর্যটনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল থাইল্যান্ড নভেম্বরে পুরোপুরি টিকা নেয়া পর্যটকদের জন্য কোয়ারান্টিনের বিধিনিষেধ তুলে নিলে হাজার হাজার পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করতে শুরু করেন। তবে থাইল্যান্ডে পর্যটন আবার শুরু হওয়ার সাথে সাথে সারা দেশজুড়ে কোভিড সংক্রমণও বাড়তে শুরু করে।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি’র গবেষক ও ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ড: আনান জংকায়েওয়াত্তানা বলেন, এরপর কী করা হবে তাই নিয়ে দেশটি দোটানায় পড়েছে।
তিনি জানান, আমরা ওমিক্রনের অত্যন্ত দ্রুত সংক্রমণ লক্ষ্য করছি; তাই এখন প্রশ্ন যে কতদিনে তা কমে যাবে বলে আমরা আশা করতে পারি, এতে বহু দিন, সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে। শুক্রবার থাইল্যান্ডে ২৪ হাজার ৯৩২টি প্রতিদিনের সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
গত বছর সারা দেশজুড়ে কয়েক মাসব্যাপী কঠোর কারফিউ এবং সামাজিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। তারপর দ্রুত টিকাদান এমনকী মাঝে মাঝে দিনে ১০ লাখের ওপরে টিকাদানের পর বছরের শেষ নাগাদ সে সব পদক্ষেপ শিথিল করা হয়।
বুধবার থাই সরকার সেই কর্মসূচিতে আরো পরিবর্তন আনেন, যার মাধ্যমে বিমানে আসা টিকা না নেয়া যাত্রীদের জন্য যে কোয়ারান্টিনের সময় নির্ধারিত রয়েছে, পুরোপুরি টিকা নেয়া পর্যটকদের বেলায় তা তুলে নেয়া হয়।
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির জন্য পর্যটনের ভূমিকা অপরিসীম। ব্যাঙ্ক অফ থাইল্যান্ডের মতে, ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১১ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে এবং এই শিল্পে চাকরিরত ছিলেন থাইল্যান্ডের ২০ শতাংশ লোক।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টারসহ প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ টিকা প্রদান করেছে। দেশটিতে ২৮ লাখ সংক্রমণ রেকর্ড করা হয় এবং মহামারী শুরু হওয়ার পর এই সংক্রমণে প্রায় ২৩ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে।