বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। এসব দেশের ট্রানজিট ফ্লাইটগুলোও এখন রাশিয়ার ওপর দিয়ে উড়তে পারবে না।
এর আগে শনিবার সকালে বাল্টিক অঞ্চলের লাটভিযা, এস্টোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া ঘোষণা করে যে তারা রুশ বিমানগুলোকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে দেবে না।
যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ আরো কয়েকটি দেশ আগেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এবার রাশিয়া ওইসব দেশের জন্য তার আকাশপথ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বদলা নিলো।
শনিবার রাশিয়ার ফেডারেল এয়ার ট্রানজিট অ্যাজেন্সিট রোসাভিয়াতি জানায়, তারা লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্টোনিয়অ ও স্লোভানিয়ার বিমানগুলোর জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিচ্ছে।
বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর আগেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
ইউক্রেনকে মারণাত্মক অস্ত্র সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জার্মানি
জার্মানিতে তৈরি প্রাণঘাতী অস্ত্র তৃতীয় কোনো দেশের ইউক্রেনে সরবরাহের ওপর জার্মানির যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, জার্মানি তা তুলে নিয়েছে।
এই পদক্ষেপের অর্থ হলো নেদারল্যান্ডস এখন জার্মানিতে তৈরি রকেট চালিত গ্রেনেড উৎক্ষেপক ইউক্রেনে পাঠাতে পারবে।
জার্মানির অস্ত্র নীতিতে এটা বড়ধরনের একটা পরিবর্তন এবং এর ফলে ইউক্রেনে ইউরোপের দেশগুলোর সামরিক সহায়তা বাড়বে। এসব দেশের কাছে যেসব সমরাস্ত্রে আছে, তার বেশিরভাগই অংশত জার্মানিতে তৈরি। কাজেই এসব অস্ত্র কোথায় ব্যবহার হবে ও কোথায় রপ্তানি হবে, সে বিষয়ে জার্মানি মত দিতে পারবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জার্মানির ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেয়া প্রত্যাখ্যান করার পেছনে এই নীতির কথাই বারবার উল্লেখ করেছিলেন জার্মান চান্সেলার ওলাফ শোলৎজ।
রাশিয়ার ‘ডার্টি বোমা’ নিয়ে ছড়ানো তথ্য ভুয়া : ইউক্রেন
ইউক্রেন সরকার রাশিয়ান এলাকায় ‘ডার্টি বোমা’র বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।
ডার্টি বোমা হলো এমন ধরনের বোমা যেখানে সাধারণ বিস্ফোরকের সাথে তেজস্ক্রিয় পদার্থ মেশানো থাকে এবং এর বিস্ফোরণের সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সাম্প্রতিক কয়েক দিন ধরে এই সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তা চলছে। শুক্রবার রাতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া প্রতিনিধিদের বলেন : ‘আমরা চাই না ইউক্রেন ‘ডার্টি বোমা’ তৈরি করুক।’
এক টু্ইট বার্তায় কুলেবা এই সম্ভাবনার কথাকে বিদ্রূপ করে বলেন : ‘রাশিয়ার প্রচারণা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’
ইতিহাসে ইউক্রেন একমাত্র রাষ্ট্র যারা স্বেচ্ছায় পারমাণবিক অস্ত্র-মুক্ত দেশ হয়েছে। ১৯৯৪ সালে ইউক্রেন রাশিয়া এবং পশ্চিমের দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিনিমেয় প্রায় পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমার সম্ভার নষ্ট করে ফেলে।
সূত্র : বিবিসি