বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নয়ন-আলী প্যানেল অবিলম্বে সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠনের দাবী জানিয়ে বলেছে নির্বচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন আয়োজন করতে না পারলে ইসি দায়িত্ব থেকে সরে যাক। আমরা ইসির পদত্যাগ চাই। শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির নেতৃবৃন্দ এই দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নয়ন-আলী প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন। এরপর দীর্ঘ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আবু নাসের। তাকে সহযোগিতা করেন আলী ইমাম শিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন বলেন, আমরা অবিলম্বে নির্বাচন চাই। তিনি নির্বাচন কমিশনের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের কাছে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তারপও আমরা নির্বাচনের পক্ষে, যদিও আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীর একাধিক নাম দেখছি। এক ব্যক্তি কি তিন নাম ব্যবহার করতে পারেন?
লিখিত বক্তব্যের শুরুতে বলা হয় যে, আজকের সংবাদ সম্মেলন কোন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, অথবা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় বা ছোট করার জন্য নয়। সোসাইটিতে কি হচ্ছে তা সবাইকে অবহিত করা এবং আমরা জানি যে, ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো তা হচ্ছে না। নির্বাচনের ঘটনা বহুল ইতিহাস তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে সোসাইটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু থেকে তাদের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণার প্রেক্ষপট এবং সর্বশেষ মামলা সহ বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, সোসাইটির বিরুদ্ধে আনীত সকল মামলার মোশন শেষ। এখন নির্বাচন আয়োজনে কোন বাধা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করি। আর যদি তারা নির্বাচন আয়োজন করতে না পারেন তাহলে তারা সড়ে যেতে পারেন। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন। এটি ঠিক নয়, সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে অনেক অর্থের অপচয় হয়েছে, আর নয়। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাষ্টিবোর্ড চেয়ারম্যানের বাংলাদেশ গমনের অজুহাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিলম্ব, নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যের পদত্যাগ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ, একাধিক মামলা, প্রতিদ্বন্দ্বি ‘রব-রুহুল’ প্যানেলের ‘এ’ লাইনের সুবিধা নেয়া, ছোট ভুলের কারণে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ও নির্বাচন কমিমনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও অসহযোগিতার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রবাসের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি-কে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে নির্বাচন দাবী, অন্যথায় নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে সড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নয়ন-আলী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও প্যানেলটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আহসান হাবীব, ফারুক হোসেন মজুমদার, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।