তুলনামূলক দুর্বল সামরিক শক্তি নিয়ে ইউক্রেনে লড়ছে শক্তিশালী রুশ বাহিনীর সঙ্গে। এই অসম লড়াইয়ে ইউক্রেনে বারবার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি নানা সহায়তার অনুরোধ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বরাবর ‘পাশে থাকার’ কথা বলেছে কিন্তু তাতে তুষ্ট হয়নি কিয়েভ। এমন পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। মার্কিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।
খবরে বলা হয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো ও তার সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে ১৭ হাজার অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, ২ হাজার অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো মিলিটারি কার্গো পাঠিয়েছে। এদিকে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বেশকিছু দেশ ইউক্রেনে সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা ইউক্রেনে পৌঁছে গেছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন ন্যাটোর প্রতি সামরিক সহায়তার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত না হওয়ায় সেখানে সরাসরি সেনা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ন্যাটোর ‘আর্টিক্যাল-৫’ অনুযায়ী একজন সদস্য আক্রান্ত হলেও সবাই আক্রান্ত হওয়া হিসেবে ধরে নেওয়া হয়’ এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতিটি ইঞ্চি সুরক্ষার অঙ্গীকার করে থাকে তারা। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এ বিষয়টিতে জোর দেন। লিথুনিয়া সফরে গিয়ে তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে ইউরোপে আরও সাত হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন তিনি।
লন্ডনে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর আরও কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা চালায় রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যুক্তি দিয়েছেন, ইউক্রেনকে দখল করা নয়; বরং দেশটিকে ‘অসামরিকীকরণ’ ‘নাৎসিমুক্ত’ করাই তার প্রধান লক্ষ্য। মস্কোর এই লক্ষ্য পূরণ হলেও অভিযান বন্ধ করবেন তিনি। তবে ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত তৃতীয় দফায় অস্ত্রবিরতি দিয়েও কার্যকরের তেমন লক্ষণ দেখা যায়নি।