কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স কমলেও মার্চে রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে দেশে। করোনা মহামারির পর ধস নামলেও সদ্য বিদায়ী মার্চ মাসে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে রেমিট্যান্স। মার্চে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মোট ১৮৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার সমান ৮৬ টাকা হিসাবে) ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মার্চে ১৮৬ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা এসেছে দেশে। এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ফলে মার্চে ৩৭ কোটি ডলার বা ৩ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা বেশি এসেছে দেশে। তবে গত বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের মার্চের তুলনায় এবার ৫ কোটি ডলার বা ৪৩০ কোটি টাকা কম রেমিট্যান্স এসেছে। তখন প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৯১ কোটি ডলার বা ১৬ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। অপরদিকে চলতি বছরের (২০২২) প্রথম মাস জানুয়ারিতে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৭০ কোটি ডলার বা ১৪ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এদিকে করোনা মহামারির পর এবার ইউক্রেন যুদ্ধেও রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয়ের পর সদ্যসমাপ্ত মার্চে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার আয় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। গত বছর মার্চে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল।
গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রপ্তানি ছিল ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি, প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অর্থবছরের মার্চ মাস শেষে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ৩৫.২৯ শতাংশ এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানি ৩২.০৭ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৮ শতাংশ এবং প্লাস্টিক পণ্যে আয় বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ।