সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

রমজানে ইবাদতের পাশাপাশি অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব রয়েছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৫২ বার

পবিত্র রমজান সংযমের মাস। আত্মশুদ্ধি অর্জন ও কুপ্রবৃত্তি দমনের মাস। এ মাসে প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ফরজ করা হয়েছে। এ মাস ইবাদতের বসন্ত। এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহু গুণে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।

রমজানের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে গোটা বছরের জন্য ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৮৩৬৮)

এ মাসে শারীরিক ইবাদতের পাশাপাশি আর্থিক ইবাদতেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী (সা.) এ মাসে প্রচুর পরিমাণে সদকা করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) কল্যাণের কাজে ছিলেন সর্বাধিক দানশীল, বিশেষভাবে রমজান মাসে। (তাঁর দানশীলতার কোনো সীমা ছিল না) কেননা, রমজান মাসের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তিনি তাঁকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি কল্যাণের জন্য প্রবহমান বায়ুর চেয়েও বেশি দানশীল হতেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৪৯৯৭)

 

এ ছাড়া রমজানে রোজাদারদের ইফতারির ব্যবস্থা করা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সাওয়াবও কমানো হবে না। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)

তাই পবিত্র রমজান আমরা একটু সংযত হয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারি।

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানপাত্র থেকে, যার মিশ্রণ হবে কাফুর। এমন এক ঝরনা, যা থেকে আল্লাহর বান্দারা পান করবে, তারা এটিকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা মানত পূর্ণ করে এবং সে দিনকে ভয় করে, যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত। তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দিকে খাদ্য দান করে। তারা বলে, ‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং কোনো শোকরও না। আমরা আমাদের রবের পক্ষ থেকে এক ভয়ংকর ভীতিপ্রদ দিবসের ভয় করি। সুতরাং সেই দিবসের অকল্যাণ থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করলেন এবং তাদের প্রদান করলেন উজ্জ্বলতা ও উত্ফুল্লতা। ’ (সুরা দাহর, আয়াত : ৫-১১)

যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে, পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাদের সুনাম করেছেন, তাদের জন্য উত্তম প্রতিদানের ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানপাত্র থেকে, যার মিশ্রণ হবে কাফুর। এমন এক ঝরনা, যা থেকে আল্লাহর বান্দারা পান করবে, তারা এটিকে যথা ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। তারা মানত পূর্ণ করে এবং সে দিনকে ভয় করে, যার অকল্যাণ হবে সুবিস্তৃত। তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দিকে খাদ্য দান করে। তারা বলে, ‘আমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের খাদ্য দান করি। আমরা তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান চাই না এবং কোনো শোকরও না। আমরা আমাদের রবের পক্ষ থেকে এক ভয়ংকর ভীতিপ্রদ দিবসের ভয় করি। সুতরাং সেই দিবসের অকল্যাণ থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করলেন এবং তাদের প্রদান করলেন উজ্জ্বলতা ও উত্ফুল্লতা। ’ (সুরা : দাহর, আয়াত : ৫-১১)

তা ছাড়া আমাদের রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ, তাঁর ওপর ভরসা করে যদি আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তিনি আমাদের রিজিকেও বরকত দেবেন ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন, পবিত্র রমজানে আমরা সকলে ব্যয় ও খাবারেও সংযত হয়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াই, হয়তো মহান আল্লাহ এর উসিলায় আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com