ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তোলপড়র শুরু হয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এমন এক নৃশংস ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না কেউ। প্রশাসন এই ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি প্রদানের আশ্বাস দিলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি এই ঘটনা নিয়ে তারা কোনো প্রহসন চান না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ছাত্রী ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভিসি বলেছেন, বিষয়টি খুবই লজ্জার। আর ডাকসু এই ঘটনায় প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছে। ভিপি নুর বলেছেন, এর দায় দায়িত্ব প্রশাসন এড়াতে পারে না।
রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে ওঠেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়ি থেকে তিনি কুর্মিটোলায় নেমে যান। তার যে স্টপেজে নামার কথা ছিলো ভুলে অন্যত্র নেমে পড়েন। এরপর ফুটপাথ ধরে তিনি হাঁটছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ তার ঘাড় চেপে ধরে। তিনি ওই লোকটিকে একনজর দেখেন। কিন্তু তারপর কি হয়েছে তা মনে নেই তারা। পরে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন একটি নির্জন স্থানে। আশপাশে গাছগাছালি। রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে বের হয়ে তিনি রিকশা নিয়ে ওই বান্ধবীর বাসায় যান। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ এতথ্য জানিয়েছে।
রোববার রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে তার সহপাঠীরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার হয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর ভর্তির খবরে রাতেই অনেকে ছুটে যান হাসপাতালে। সেখান থেকে বের হয়ে অনেকেই গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ওই শিক্ষার্থীর জীবনে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক কাহিনী তুলে ধরেন। ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা সিকদার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখার পর রাত ৩টার দিকে অপেক্ষমান সাংবাদিদের জানান, ঘটনার শিকার ছাত্রী এখন কথাবার্তা বলার মতো সুস্থ রয়েছেন। তার কাছে ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছেন। ওই ছাত্রীর জবানিতে তিলোত্তমা জানান, মেয়েটি সাড়ে ৫টার দিকে ইউনিভার্সিটির বাসে ওঠে। গন্তব্য রাজধানীর শেওড়া। কিন্তু ভুলক্রমে বা অন্য কোনো কারণে আগের স্টপেজ কুর্মিটোলায় তিনি নেমে পড়েন। তখন সময় সন্ধ্যা সাতটা। বাস থেকে নেমে আনুমানিক ১৫ কদম যাওয়ার পর পেছন থেকে এসে তার ঘাড় চেপে ধরে একটি লোক। চেহারা ও বেশভূষা থেকে বোঝা যাচ্ছিলো, লোকটি নিম্নশ্রেণির। সে মেয়েটির ঘাড়ের নার্ভসেন্টারে এমনভাবে চাপ দিয়ে ধরেছিলো, তার পক্ষে একটুও নড়াচড়া করা সম্ভব ছিলো না। ঘাড় ধরেই ছাত্রীটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ওই দুর্র্বৃত্ত। ধর্ষণের আগে তাকে বেশ মারধরও করে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারায় মেয়েটি। জ্ঞান ফেরার পর একটি সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরে যায়। তার অবস্থা দেখে ও ঘটনা জেনে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী, সামাজিক অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম এবং আরো বেশ কজন শিক্ষক হাসপাতালে ছুটে যান। মেয়েটির সাথে কথা বলেন, তার সার্বিক অবস্থার খবর নেন। ছুটে যান বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মামলা দায়ের
এই ঘটনায় রোববার রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার ওসি গতরাতে বলেন, মামলায় একজনকে আসামী করা হয়েছে। এজাহারে মেয়েটি তার বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে ওসি জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে কলম, হাতঘড়ি, ব্যাগ উদ্ধার
ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যাগ, হাতঘড়ি, কলম ও একটি প্যান্ট। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে ওই ছাত্রীর ব্যবহৃত বই ও ইনহেলার। সোমবার সকালে কুর্মিটোলায় ঝোপঝাড়ের মধ্য থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা এসব উদ্ধার করেন। পুলিশ বলেছে, বিষয়টি তারা অবগত হওয়ার পর সোমবার সকালেই তারা ঘটনাস্থলে যায়। ছাত্রীর দেয়া বর্ণনা অনুযায়ী তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওইসব আলামত উদ্ধার করে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি টিমও ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে।
উত্তাল ঢাবি
কুর্মিটোলায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রোববার রাত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। রাতেই কোনো কোনো স্থানে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়। অনেকে অপেক্ষা করছিলেন ভোর হওয়ার। রাত পৌনে চারটার দিকে সংগঠনের সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মিছিল বের করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। সেখানে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। আখতার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় যাদের অবহেলা আছে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর সাথে যে বর্বরতম ঘটনা ঘটেছে, তা বাংলাদেশের বিচারহীনতার কারণেই ঘটেছে। ধর্ষকদের বারবার ছাড় দেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে এমন ঘটনা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারি না। সেজন্য আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি।
সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসুচি পালন করা হয়। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও অনশনসহ কর্মসূচি পালন করেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেই বিক্ষোভে অংশ নেন। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এর আগে কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ডাকসুর এজিএস ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘ধর্ষণ কিংবা নারীর ওপর যেকোনো নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে যা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ, সকল নারীর ওপর পুরুষতান্ত্রিক নিষ্পেষণের বিরুদ্ধ প্রতিরোধেরই অংশ। আজকের ঘটনার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জেগে থাকবে- এ আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
সকাল ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। ফেসবুকের একটি ইভেন্টের মাধ্যমে তিনি এ ডাক দেন। ইমির ডাকা এ প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
মহিলা পরিষদ ধর্ষকের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ছাত্রদল এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে কর্মসুচি পালন করে।
কুর্মিটোলায় সড়ক অবরোধ
গতকাল বিকেল পৌঁনে চারটার দিকে কুর্মিটোলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা ধর্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এসময় ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
লজ্জার শেষ নেই, নিন্দা জানানোর ভাষা নেই : প্রোভিসি
প্রোভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আমাদের লজ্জার শেষ নেই। মেয়েটিকে প্রথমে পেটানো হয়েছে, পরে তাকে অপমান করেছে দুর্বৃত্তরা। আমরা সরকারের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
প্রোভিসি বলেন, মেয়েটি শারীরিকভাবে ভালো আছে। তবে তার মানসিক ক্ষত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তার চিকিৎসার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি।
বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীর অনশন
সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেছেন সিফাতুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী। সিফাতুল ঢাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। একটি প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে তাকে অনশনে বসতে দেখা গেছে। সিফাতুল ইসলাম জানান, ধর্ষককে অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে বলে দাবি সিফাতুলের।
শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ধর্ষিতা
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ট্রমা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এই অবস্থায় তার সাথে দেখা করা, কথা বলা তার জন্য অস্বস্তিকর। কেউ যেন আমরা তার কাছে না যাই। ধর্ষণের আলামতের বিষয়ে তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগ দেখছে। পাশাপাশি তাকে ঢামেকের নাক কান গলা বিভাগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তার যেহেতু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, সেজন্য রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগসহ আরো কিছু বিভাগের ডাক্তারদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ঢামেকের গাইনি বিভাগের প্রধান সালমা রউফকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বিচারের আওতায় আনতে হবে : ভিপি নুর
আইওয়াশমূলক কর্মকান্ড না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষণকারীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক।
সোমবার দুপুরে শাহবাগ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে নুর এ কথা বলেন।
নুর বলেন, ডাকসুতে হামলার ব্যাপারে সরকার যেমন আইওয়াশ করেছে, এই ঘটনায় যেন তা না করে। অবিলম্বে ধর্ষককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হলে ছাত্রজনতা কাউকেই ছেড়ে দেবে না।
এ ঘটনায় সরকার ও পুলিশকে দায়ী করে ভিপি নুর বলেন, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না। তারা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
সমাবেশে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হোসেন, শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের ভিপি এস কে তাসনিম আফরোজ ইমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সোমবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে, সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবগুলো সংস্থা ঘটনাটি তদন্ত করছে।