পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসেছেন শাহবাজ শরিফ। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরই পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি। অবশেষে তার উত্তর দিলেন শাহবাজ শরিফ। চিঠিতে ভারতের উদ্দেশে আবারও বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে তার চিঠিতে উঠে এসেছে কাশ্মীর সমস্যা প্রসঙ্গও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই, হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার পত্রিকাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোদিকে লেখা চিঠিতে শাহবাজ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চাই। অর্থবহ একটি আলোচনার মাধ্যমেই তা হতে পারে।’
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর লেখা এই চিঠি শনিবার পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে। ওই চিঠিতে শাহবাজ একই সঙ্গে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে গত সোমবার পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহবাজ। এরপরই নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, ‘শুভেচ্ছা। শান্তি, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলের আশায় থাকবে ভারত।’ ভারত যে সর্বদা প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মোদি। অবশেষে তারই উত্তর দিলেন শাহবাজ।
এর জবাবে নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার বন্ধনে বিশ্বাসী। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো জম্মুসহ অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অপরিহার্য। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা সবাই জানে। এবার দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
কাশ্মীর সমস্যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বরাবরই কাঁটা হয়ে থেকেছে। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর আমলে সম্পর্কে কতটা উন্নতি হবে সেকথা সময়ই বলবে।
এদিকে, শাহবাজের চিঠির পরে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি নিয়ে তার চেষ্টার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে নয়াদিল্লি। নতুন পাক প্রধানমন্ত্রীর তরফে এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মোদি সরকারের কর্মকর্তরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারের কোনো কর্মকর্তাই প্রকাশ্যে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।