উচ্চ আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)-এর কার্যালয়ে তিন কর্মকর্তাকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ কালাম। তিনি অভিযোগ করেন, বায়রার পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। এ কারণেই শ্রমবাজারটি খুলছে না।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনস্থ বায়রা ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। বায়রা ভবনে সকাল ১০টায় তিনিসহ বহিষ্কৃতরা সংবাদ সম্মেলন ঢাকেন। তারা বায়রা কার্যালয়ের ভেতরে কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনটি করতে চাইলেও তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় গেটের ভেতরে সিড়ির সামনে দাড়িয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তারা।
সম্প্রতি বায়রার সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ কালাম, অর্থ সম্পাদক শওকত হোসেন সিকদার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম নাজমুল হককে বহিস্কার করা হয়। এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান তারা। মনসুর আহমেদ কালাম বলেন, উচ্চ আদালতে বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার পর গত সোমবার তাদের পক্ষে রায় দেয়া হয়। কিন্তু বায়রার সভাপতি-মহাসচিব আদালতের রায় মানছেন না। আদালতের আদেশের পরও বায়রা অফিসে ঢুকতে না দেয়া আদালত অবমাননা।
তিনি অভিযোগ করেন, বায়রা সভাপতি-মহাসচিবের একতরফা কর্মকাণ্ড এবং সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করায় আমাদের তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতের রায়ে সেটা প্রমাণ হয়েছে। আদালত আমাদের বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
মনসুর আহমেদ কালাম বলেন, সদস্যদের সাথে আলোচনা ছাড়া সৌদি ভিসা সেন্টারের পক্ষে চিঠি দেয়া, মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে মালয়েশিয়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বায়রা সভাপতি-মহাসচিব দেশের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন। এমন নানা কর্মকাণ্ডে বায়রা দুই ভাগে বিভক্ত বলেও জানান মনসুর আহমেদ কালাম।
মালয়েশিয়া সরকারের কাছে চিঠি দেয়ার কারণেই সেদেশের শ্রমবাজার খুলছে না। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথেও বায়রার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দূরত্ব কমিয়ে না আনলে ম্যানপাওয়ার সেক্টরে স্থবিরতা নেমে আসবে। রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি বেনজীর আহমদ, এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি এখনো বিচারাধীন রয়েছেন। আমরা আপিল করছি। এরপর এসব বিষয়ে কথা বলবো। ‘মালয়েশিয়া সরকারকে চিঠি দেয়ার কারণেই শ্রমবাজার খুলছে না’-এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বায়রা সভাপতি বলেন, এই চিঠি দেয়ার কারণেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট হচ্ছে না। তারা যেসব অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়।
জানা গেছে, আজ বুধবার দুপুর ২টার পর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি রয়েছে। বায়রার পক্ষ থেকে আপিল করা হয়েছে।