দীর্ঘ এক মাসের সংযম সাধনার শেষে আনন্দময় উৎসব ঈদুল ফিতর সমাগত। আমাদের প্রিয় পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, শুভানুধ্যায়ী- সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সব ভেদাভেদ ভুলে একে অন্যকে বুকে জড়ানোর দিন; সাম্য, সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও মিলনের দিন। ঈদ উৎসব উদ্যাপনের জন্য বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহর থেকে পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের বাড়ি যান। কিন্তু যানবাহনের অপ্রতুলতার কারণে প্রতিবছরই তাদের বেশ ভোগান্তি হয়।
ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বগি সংযোজন করার পরও অনেক মানুষকে ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। বাস ও লঞ্চযাত্রীদের শত শত টিকিটের জন্য হাহাকার চলে। ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হতে পারে টিকিট কেনাবেচা ও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা এবং ব্যবস্থাপনা উন্নত করার মাধ্যমে। সড়ক-মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সতর্কতা খুব জরুরি। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া না হলে যে যানজটের সৃষ্টি যায়, তা অত্যন্ত জটিল ও দুর্ভোগময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
ঈদ মুসলমানদের জন্য শুধু একটি ধর্মীয় উৎসবই নয়, সম্প্রীতি শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষও। এই উৎসবের মাধ্যমে প্রত্যেক মুসলমান একে অন্যের আরও কাছাকাছি আসে। পবিত্র রমজান আমাদের চিত্তশুদ্ধির যে শিক্ষা দিয়েছে, ঈদুল ফিতর হচ্ছে ওই শিক্ষা কাজে লাগানোর দিন। বলার অপেক্ষা রাখে না, দীর্ঘ করোনা মহামারীর কারণে দারিদ্র্য বেড়েছে। সামর্থ্যবানরা যদি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান, তা হলে তাদের উৎসব হবে আনন্দময়। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে আমাদের ঘরে ঘরে ফিরে আসুক শান্তি ও সমৃদ্ধি, বৃদ্ধি হোক সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ। ঈদ মোবারক।