করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে যখন বিদেশে বাংলাদেশের কর্মী যাওয়া শুরু করেছে, তখনই তাদের দ্বিগুণ বিমান ভাড়া গুনতে হচ্ছে। নভেম্ব^র পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিমানের টিকিটের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এখন তা ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। আবার বেশি দাম দিয়েও বিমানের টিকিট মিলছে না। টিকিটের জন্য রাস্তায় মিছিল করতে হচ্ছে। এ অবস্থার জন্য দায়ী কে? বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে দেশীয় ও বিদেশি পরিবহন সংস্থার ফ্লাইট কম চলাচল করছে না। তারপরও এ ভাড়া বৃদ্ধি ও টিকিট সংকটের পেছনে কোনো চক্র বা সিন্ডিকেটের কারসাজি আছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি অব বাংলাদেশের (অ্যাটাব) অভিযোগ, ভাড়া বাড়ানোর জন্য এয়ারলাইনসগুলোই দায়ী। অন্যদিকে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বিমান পরিবহন সংস্থা ও অ্যাটাব সিন্ডিকেট করেই বিমান ভাড়া বাড়িয়েছে। বিমানের টিকিট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে বুধবার রাতে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগের একটি দল। বিমানের টিকিট প্রতারক চক্র ২০১৫ সাল থেকে ওমরাহ হজ ও হজকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। সৌদি আরব ও দুবাইতে জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ওমরাহ যাত্রীর যাতায়াতও বেড়েছে। এ সুযোগ নিয়ে কোনো কোনো এয়ারলাইনসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গুটিকয় এজেন্সি টিকিট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করে অসহায় বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এয়ারলাইনস টিকিট বিক্রি ও বিপণন নীতিতে নাম ছাড়া টিকিট বুকিং বা তা ব্লক রাখার কারণে টিকিটের কৃত্রিম সংকট আরও বেড়েছে। এদিকে আবার আসন খালি রেখে ছেড়ে যায় এসব ফ্লাইট। আমাদের আশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুরাহা করবে।