বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উত্তরণ কিভাবে

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২
  • ১৭৩ বার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র চায়। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু হয়, সে ব্যাপারে তাদের আগ্রহ রয়েছে। তবে নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে, কিভাবে হবে, তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তাদের অন্যতম আগ্রহের জায়গা হলো বাংলাদেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা। মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার পর ক্রসফায়ারের ঘটনা বন্ধ হয়েছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাও দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর বিভিন্ন সময় যে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর ব্যাপারে রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ, তদন্ত এবং নির্মোহ ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক ধারার উত্থান ঘটুক তা চায় না। এটি বন্ধের জন্য তারা বাংলাদেশকে বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করতেও আগ্রহী। মার্কিন কর্তৃপক্ষের বড় একটি বিষয় হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্ত স্বাধীন গণমাধ্যম। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা দরকার, পারলে বাতিল করা দরকার।

যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গুমের অভিযোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রই এ ধরনের অভিযোগ করেছে বা এই প্রথম অভিযোগ করেছে, তা নয়। বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গুমের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে প্রতি বছরই উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই এককভাবে এমন করেনি, গত এক দশকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বহুবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। এ বছরের জুলাই মাসে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনেও মানবাধিকার পরিস্থিতির ‘উন্নতি হয়নি’ বলেই বলা হয়েছে। ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগের ভিত্তি হচ্ছে আন্তর্জাতিক এবং দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিয়মিত প্রতিবেদন। আসলে প্রতিদিনের খবরেই তা দেখা যায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল অন্তত এক দশক ধরেই বলে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যথেষ্ট উদাহরণ হাজির করেছে।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধ সামনে রেখে বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাসহ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তনের পাশাপাশি ভ‚রাজনৈতিক স্বার্থে বাইডেন প্রশাসনের কৌশলগত অবস্থান হিসেবেও দেখা হচ্ছে। নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও বিশ্লেষণ। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে অতীতে সেভাবে সোচ্চার না হলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন কেন সোচ্চার, তা নিয়েও আছে কৌত‚হল। সার্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের একপ্রকার টানাপড়েন হিসেবে দেখছেন অনেকে। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এসে কিন্তু তাদের নীতির আপাতদৃষ্টিতে একটা পরিবর্তন করছে। পরিবর্তনটা হলো, তারা গণতন্ত্র সংগঠিত করবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কিছু ব্যাপারে অখুশি। দু’টি বিষয়ে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। একটি মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের প্রশ্ন যেটি তাদের পররাষ্ট্রনীতির অংশ। দ্বিতীয়টি হচ্ছেÑ বাইডেন প্রশাসন গোড়া থেকেই এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নজর দিয়েছেন ভ‚রাজনৈতিক স্বার্থে। উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং কাছেই মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর, এগুলো চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে দীর্ঘমেয়াদে এসব জায়গায় চীনের পরিবর্তে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। এটি এক দীর্ঘমেয়াদি খেলা। ভ‚রাজনৈতিক বাস্তবতায় বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে ওয়াশিংটনে উড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুুল মোমেন। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিøংকেনের সাথে তিনি বৈঠক করেন এবং দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের বার্তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। দুই দেশই আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশে-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো নতুন উচ্চতায় যাবে এবং সমৃদ্ধির নতুন দুয়ার স্পর্শ করবে। দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতেও দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কথা বলেছেন।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের টানাপড়েনের কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি বা মানবাধিকার বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা করেনি। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইতিবাচক। বিøংকেন-মোমেন বৈঠকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় সামনে এসেছে। তার মধ্যে একটি হলোÑ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনটির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নেতিবাচক মনোভাব আরো স্পষ্ট করেছে। এই আইন যদি বাতিল না-ও করা হয়, আইনের নেতিবাচক দিকগুলো যেন বন্ধ করা হয় সে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেন না ঘটে। তৃতীয়ত, সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগগুলো যেন যথাযথভাবে তদন্ত করা হয়। এই বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন।

নিজ স্বার্থ রক্ষায় মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে ব্যবহার চিরায়ত মার্কিন কৌশল। এমনকি শেষ পর্যন্ত সামরিক আগ্রাসন করতেও তারা সিদ্ধহস্ত। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, পৃথিবীর সব কৌশলগত পরিকল্পনাকে নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। আর এখানেই মার্কিন নীতি গত দুই দশকে মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুদ্ধনীতি আর নির্লজ্জ ইসরাইলপ্রীতি আর সাথে আফগানিস্তান থেকে অপমানজনক পলায়ন তার ভাবমর্যাদা ও সামর্থ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনলেও যুক্তরাষ্ট্র উচ্চবাচ্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ মনে হয়, জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুণœœ রেখে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ক‚টনৈতিকভাবে নিষেধাজ্ঞার মোকাবেলা করবে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্য আমাদের এই ধারণাকে সমর্থন করে। হয়তো, কূটনৈতিক পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ দেখা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, চীনের ওপর অবকাঠামো উন্নয়নে নির্ভরশীলতা আর আঞ্চলিক কারণে বিশেষত ভারতের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় ভালো সম্পর্ক এই নিষেধাজ্ঞা আর বেশিদূর নিতে দেবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। তবে এ মুহূর্তে সহসা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে, সেটি মনে করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরো বেশি পরিপক্ব ক‚টনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্বের অর্থনীতির ভরকেন্দ্র এশিয়ায় সরে আসা, চীনের উত্থান, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা, এ অঞ্চলে ভারতের আবেদন হ্রাস, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-সবই বাংলাদেশকে মার্কিন প্রশাসনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘সামরিক জোট’ কোয়াডে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা, চীনের প্রভাববলয় থেকে বের করে আনা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের কাছে যুদ্ধের সরঞ্জাম বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করা ইত্যাদি কারণে ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন বাংলাদেশকে এশিয়ায় তার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পেতে চেয়েছে; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আশানুরূপ সাড়া পায়নি বলেই মনে হয়।

বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে টানাপড়েন হলেও গত এক দশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমে সহযোগিতা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যের একটি বড় বাজার। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুক‚লে এবং একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। কোভিডের টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের সাহায্য করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে প্রশংসা করেই যুক্তরাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন শেষ করেনি, সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

কিন্তু মনে রাখা দরকার, প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাবকে তালিকাভুক্ত করার সময় যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয় বিবেচনা করেছে যে, একে বাংলাদেশ সরকার কতটা গুরুত্ব দেয়। যুক্তরাষ্ট্র একে একটি মাত্র পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে, নাকি এরপর আরো পদক্ষেপ নেবে, তার ওপর নির্ভর করবে সম্পর্কের গতিপথ কী হবে। এ নিষেধাজ্ঞার কিছু খুঁটিনাটি দিক এখনো অস্পষ্ট। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠান র‌্যাব কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কর্মকর্তাদের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেন করবে, তাদের সাথে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ও লেনদেনের বিষয় কিভাবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশেই চীনের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য থেকে শুরু করে অস্ত্র-সরঞ্জাম অনেক কিছুতেই বাংলাদেশ চীননির্ভর। এখন বাংলাদেশ যদি চীনের প্রভাববলয়ে চলে যায় তাহলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো মিত্রই অবশিষ্ট থাকে না। এসব বিবেচনায় মনে হতে পারে চীনের প্রভাববলয় থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে রাখতে বাংলাদেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, যা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কৌশলমাত্র।

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্পর্কিত মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি ও নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনীতির একটি কৌশলের অংশ। চীন যেভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাববলয় বিস্তারে সক্ষম হয়েছে- সেখানে একমাত্র ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বন্ধুরাষ্ট্র নেই। বাংলাদেশ তার পরিপক্ব কূটনৈতিক তৎপরতা ও কৌশলী দেনদরবারের মাধ্যমে অচিরেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হবে এটাই প্রত্যাশা।
লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক
সাবেক উপমহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com