হালাল রিজিক উপার্জনে জাগতিক বৈধ সব উপায় অবলম্বনের পাশাপাশি খোদাভীতি, আল্লাহর ওপর আস্থা এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাসহ ক্ষমা প্রার্থনার মতো ইবাদত-বন্দেগি ধারাবাহিক চালিয়ে যেতে হবে। কারণ পবিত্র কোরআনে এসব আমলে রিজিক বৃদ্ধির কথা ঘোষিত হয়েছে।
খোদাভীতি : ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিজিক দেবেন। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)
আল্লাহর ওপর ভরসা : ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সব কিছুর জন্য একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ৩)
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ : ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের আরো বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড়ই কঠিন। ’ (সুরা : ইবরাহিম, আয়াত : ৭)
দান-সদকা করা : ইরশাদ হয়েছে, ‘এমন কে আছে যে আল্লাহকে ঋণ দেবে, উত্তম ঋণ; অতঃপর আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ-বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেবেন। আল্লাহই সংকুচিত করেন এবং তিনিই প্রশস্ততা দান করেন এবং তাঁরই কাছে তোমরা সবাই ফিরে যাবে। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৫)
ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা : ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর (আমি নুহকে) বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর অজস্র (রিজিক উৎপাদনে) বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন। ’ (সুরা : নুহ, আয়াত : ১০-১২)
আল্লাহ আমাদের উত্তম রিজিক অর্জনের পথে সব সংকীর্ণতা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করে দিন।