বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন

‘মন্দিরকে জমি দিয়ে পুরো মসজিদটাই ছাড়তে হবে বুঝিনি’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২
  • ১৯৯ বার

গত বছর ভারতের উত্তর প্রদেশে হিন্দুদের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডর প্রকল্পের জন্য নিজেদের জমির একাংশ ছেড়ে দিয়েছিল জ্ঞানবাপি মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদের ওই জমি বিশ্বনাথ মন্দিরের বলে আদালতে এখনো মামলা চলছে।

আদালতে দাবি ওঠেছে, বেনারসের জ্ঞানবাপি মসজিদের কোনো দিনই ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল না। কিন্তু এক বছর আগে কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডর তৈরির জন্য মন্দির ট্রাস্ট মসজিদের সামনের জমির জন্য উত্তর-প্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সাথেই চুক্তি করেছিল। জ্ঞানবাপি মসজিদ পরিচালন কমিটির সদস্যরা বলছেন, সম্প্রীতির বার্তা দিতেই তারা মসজিদের সামনের কিছুটা জমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিকল্পিত কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডরের জন্য ছেড়ে দেন। তবে এক বছরের মধ্যে পুরো মসজিদটাই যে ছেড়ে দেয়ার দাবি ওঠবে, তা তারা তখনও টের পাননি।

জ্ঞানবাপি মসজিদ পরিচালন কর্তৃপক্ষ আঞ্জুমা ইন্তেজামিয়া মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উত্তর প্রদেশ রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জ্ঞানবাপির সামনের জমি ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। মসজিদ কমিটির হাতে তিনটি জমির প্লট ছিল। একটি জমি, যার ওপরে জ্ঞানবাপি মসজিদ রয়েছে। দ্বিতীয় জমিটি মন্দির ও মসজিদে যাওয়া-আসার জন্য ব্যবহার করা হতো। তৃতীয় জমিতে একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম ছিল।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এটি তৈরি হয়। প্রশাসনের অনুরোধে ১৭০০ বর্গফুটের এই তৃতীয় জমিটি কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডর তৈরির জন্য ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তার বিনিময়ে নিকটবর্তী আরেকটি জমি দেয়া হয় মসজিদ পরিচালন কর্তৃপক্ষকে। তবে জমির মাপ কম হলেও দুই জমির মূল্য একই। এ জন্য কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের সাথে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চুক্তি হয়। গত বছর ৮ জুলাই জমির রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে?

এখন আদালতে দাবি ওঠেছে, ১৬৬৯ সালের ৯ এপ্রিল মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব নিজেই বেনারসে আদি বিশ্বেশ্বর বা কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংসের আদেশ জারি করেছিলেন। যে জমিতে মসজিদ রয়েছে তার মালিক আদি বিশ্বেশ্বর নিজেই। কোনো মুসলিম দাতা বা ওয়াকিফ জমি দান করলে সেই ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরেই মসজিদ তৈরি হতে পারে। ওই জমি কোনো দিনই ওয়াকফ সম্পত্তি বলে চিহ্নিত ছিল না।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছে, গত ৫০০ বছর ধরে মুসলমানরাই ওই মসজিদে নমাজ পড়ে আসছেন। তাদের প্রশ্ন, এক বছর আগেই ওয়াকফ বোর্ডের সাথে মসজিদের জমি হস্তান্তরের যে চুক্তি হয়েছে সেটাও কি সবাই ভুলে গেছে।

সূত্র : আনন্দবাজার

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com