মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ মাসে সৌদি আরব সফর করবেন বলে জানা গেছে। তবে তার আগে বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রশংসা করেছে হোয়াইট হাউস।
সৌদি আরবকে অপছন্দ করা বাইডেনের প্রশাসনের এমন প্রশংসা ব্যতিক্রমী কিছু বলে গণ্য করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেছেন, সৌদি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন।
‘আঞ্চলিক কূটনৈতিক সহযোগিতা ছাড়া যুদ্ধবিরতি সম্ভব হবে না। যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করতে সাহায্য করার জন্য আমরা বিশেষভাবে সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের নেতৃত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই,’ বলেন তিনি।
গত বুধবারসহ সাম্প্রতি সময়গুলোতেও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন এখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী বলে মনে করেন। খাশোগিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে হত্যা করা হয়। যদিও যুবরাজ এ ব্যাপারে তার সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন।
জানা যাচ্ছে, চলতি জুন মাসে ইউরোপ ও ইসরাইল সফরের মাঝে সৌদি আরব সফর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন এমন সময় সৌদি সফরে আসছেন যখন তিনি দেশে পেট্রোলের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সৌদি আরব সফরের সময় বাইডেন রিয়াদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন। বাহরাইন, কোয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আঞ্চলিক এ সংগঠনটির সদস্য।
জিন-পিয়েরে বাইডেনের সফরের বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি, তবে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রথম ও সর্বাগ্রে নজর দিচ্ছেন বিদেশী নেতাদের সাথে তার যোগাযোগ কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সৌদি আরবের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।’
জুলাই-আগস্টে তেলের উৎপাদন ২ লাখ ব্যারেল বাড়ানোর ব্যাপারে পেট্রোলিয়াম রফতানিকারদের সংগঠন ওপেক প্লাস যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি বাইডেনের সৌদি সফরের সম্ভাব্যতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস তেল উৎপাদন বাড়ানোর সে সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন