ব্রিটেনের রেলকর্মীরা মঙ্গলবার তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট শুরু করেছেন। ক্রমবর্ধমান মৃদ্রাস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও শিল্পখাতে সঙ্কটের জন্য রেলকর্মীরা এই ধর্মঘটে যোগ দেন।
সোমবার ধর্মঘট এড়াতে আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ায় রেল ইউনিয়ন আরএমটি-এর ৫০ হাজার সদস্য এই সপ্তাহে তিন দিনের কর্ম বিরতি শুরু করছেন।
আরএমটি-এর সাধারণ সম্পাদক মিক লিঞ্চ ওভারগ্রাউরাড এবং লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড উভয় ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় কম বেতন বৃদ্ধিকে ‘অগ্রহনযোগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, অপ্রত্যাশিত ‘গণ-বিভ্রাট’ এড়াতে সরকার সবকিছুই করছে।
তবে তিনি সোমবার পার্লামেন্টে বলেছেন, প্রায় ২০ শতাংশ পরিবহন সেবা চালু থাকবে, এতে জরুরি কর্মী, প্রধান জনসমাগত কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ মালবাহী রুটের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে।
ঘর্মঘট গ্লাসটোনবুরি মিউজিক ফ্যাস্টিভালসহ বৃহস্পতিবার ও শনিবারের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে বিঘ্ন সৃষ্টির ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে।
স্কুলগুলো সতর্ক করে বলেছে, ধর্মঘটে হাজার হাজার কিশোর-কিশোরীর জাতীয় পরীক্ষায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে সঙ্কট সৃষ্টি হবে।
আরএমটি জানায়, ১৯৮৯ সালের পর ব্রিটেনের রেল নেটওয়ার্কে এটি বৃহত্তম ধর্মঘট।