১৮ মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসে প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন।
তিনি সৌদি আরবে গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের ছয়টি দেশের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও জর্ডান, মিসর এবং ইরাকের নেতাদের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন বাইডেন। বৈঠকে ইরানের হুমকিদায়ক আঞ্চলিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এরই মধ্যে , ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধাদের চেষ্টাটি ভণ্ডুল হয়ে যেতে বসেছে আর অপরদিকে বিশ্বে জ্বালানির মূল্য এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়ে গেছে।
বাইডেনের সফরের প্রাক্কালে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান ও মিসরের নেতাদের মধ্যে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ন্যাটোর মতো একটি সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা জোটের বিষয়েও আলাপ হয়েছে। ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে আরব দেশগুলো ও ইসরাইলের সমন্বয়ে আরো অধিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে এমন জোটের কথা ভাবা হচ্ছে।
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন যে তিনি ইতোমধ্যেই তার দেশকে ন্যাটোর ‘সহযোগী’ হিসেবে দেখেন। কারণ তারা জোটটির সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। তাদের সৈন্যরা ন্যাটো বাহিনীর সাথে ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ অতীতে লড়াই করেছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের একজন অনিবাসী ফেলো হলেন, বিশ্লেষক আমের আল সাবাইলেহ। তিনি ভিওএ-কে বলেন যে আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নি মুসলিম দেশ সৌদি আরব, তাদের শিয়া প্রতিপক্ষ ইরানকে সংবরণ করে রাখতে চায়।
আল সাবাইলেহ বলেন, ‘সৌদিরা তাদের উপস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে আবারও ইরানের সাথে আরেকটি নতুন পরমাণু চুক্তি চায় না।’ তিনি আরো বলেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরেই ‘ঐ অঞ্চলে ইরানের আগ্রাসী, প্রতিকূল নীতি এবং ইরানের ব্যালিস্টিক সক্ষমতা’ বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা