যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য হুমকির মুখে নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্নিশ্চিত করেছেন। ইউক্রেন সংঘাতের কারণে জ্বালানীর বাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা স্থিতিশীল করতে সৌদি আরব ও অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারা তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করারও প্রস্তাব করেছেন।
শনিবার জেদ্দায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনটিতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান সভাপতিত্ব করেন। ইরানের সামরিক আগ্রাসন এবং রাশিয়া ও চীনের সম্প্রসারণের মুখে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার বিষয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের কাছে নিজের মতাদর্শ তুলে ধরেন বাইডেন।
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, তিনি দায়িত্ব পালনকালে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া বা চীনের সম্প্রসারিত ভূমিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নির্বিকার বসে থাকবে না।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে একটি সক্রিয় ও নিযুক্ত সহযোগী হয়ে থাকা অব্যাহত রাখবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব যখন আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে উঠছে এবং আমাদের মুখোমুখি থাকা চ্যালেঞ্জগুলো আরো জটিল হয়ে উঠছে, তখন এই বিষয়টি আমার কাছে আরো পরিষ্কার হচ্ছে যে মধ্যপ্রাচ্যের সাফল্যের সাথে আমেরিকার স্বার্থ কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানও তার বক্তব্য প্রদানকালে ওই অঞ্চলে ইরানের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ওই অঞ্চলের দেশগুলো গুরুতর হুমকির মুখে থাকাকালীন সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইরানকে (ইয়েমেন সংঘাতে) হস্তক্ষেপ করতে দেয়া উচিৎ না এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচিটির আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার নিয়ম মেনে চলা উচিৎ।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি এই অঞ্চলে সহিংসতা অবসানে পারস্পরিক প্রচেষ্টা এবং সেসব সংঘাতে বাইরের হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি সেসব দেশকে তিরস্কার করেন যারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভাড়াটে সেনা নিয়ে যায় এবং দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করার জন্য আধাসামরিক বাহিনী তৈরি করে। নির্দিষ্ট করে ইরানের নাম না বলে, অঞ্চলটিতে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তারের প্রতিও নিন্দা জানান তিনি।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা খাদিমি, ইরাকের সাথে নিজেদের বিদ্যুৎ গ্রিড সংযুক্ত করে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ ঘাটতি হ্রাস করায়, প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, জর্ডান ও মিশরের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
ইরাক ও দেশটির সরকার পার্শ্ববর্তী ইরান থেকে চাপের মধ্যে রয়েছে। ইউক্রেন সংঘাতের ফলে তার ও অন্যান্য দেশকে হুমকির মধ্যে ফেলা খাদ্য ও জ্বালানী নিরাপত্তা বিষয়ে আরো সহযোগিতার আহ্বান জানান খাদিমি।