শুক্রবার সকালে নিউ ইয়র্কে সিতোকোয়া ইনস্টিটিউটে লেকচার সেশনে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তিনি। আততায়ী ছুটে এসে তার ঘাড়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ইন্টারভিউ করতে আসা সাংবাদিকের মাথায়ও আঘাত করে সে। পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। আল জাজিরা
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, আলোচিত-সমালোচিত লেখকের ঘাড়ে বেশ কটি আঘাত দেখা গেছে। তাকে হেলিকপ্টারে করে এরিয়া হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানে না পুলিশ।
বিবিসি জানায়, ওই শিল্প ও শিক্ষা কেন্দ্রের মঞ্চেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর পাঠানো হয় হাসপাতালে।
১৯৮৮ সালে স্যাটানিক ভার্সেস লিখে সারা পৃথিবীতে আলোচনার ঝড় বইয়ে দেন সালমান রুশদী। তুমুল ক্ষুব্ধ হয় মুসলিমরা। ইরান বইটি নিষিদ্ধ করে। ইরানের সে সময়কার নেতা, মরহুম আয়াতুল্লাহ খোমেনি সালমান রুশদীর মাথার জন্য ৩০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তী সরকারগুলো বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করেনি, তবে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে সারাবিশে^র মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ জোরালো হয়।
জীবননাশের হুমকির মুখে সালমান রুশদী প্রায় এক দশক আত্মগোপনে থাকেন। বর্তমানে তার বয়স ৭৫। তিনি ১৪টি গ্রন্থ লিখেছেন। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে নাইট উপাধি দেওয়া হয় ২০০৭ সালে।