স্বশাসিত দ্বীপাঞ্চল তাইওয়ানের আকাশে চীন যে ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে সম্প্রতি, একে যুক্তরাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ জানানোই যথোচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন এক শীর্ষ সামরিক কমান্ডার। অন্যথায় সেভেনথ ফ্লিট কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল কার্ল থমাস বলছেন, চীনের এই বদাভ্যাস স্বাভাবিক চরিত্র হয়ে দাঁড়াবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে গতকাল জানানো হয়েছে, তিনি চীনের এই সামরিক হস্তক্ষেপকে ‘ঘরের মধ্যে গরিলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
তাইওয়ানকে ঘিরে এই মাসের শুরুর দিকে সামরিক মহড়া দিয়েছে বেইজিং। তবে দ্বীপটির ভূখ-ের সরাসরি ওপরভাগ দিয়ে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে গেছে কিনা, এ বিষয়টি তারা নিশ্চিত করে জানায়নি। তাইপেও সরাসরি এমন কোনো অভিযোগ তোলেনি।
বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার থমাস যে মন্তব্য করেছেন তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সেভেনথ ফ্লিট মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় ফ্লিট। এটি জাপানের জোকোসুকায় রয়েছে। এ ফ্লিটে ৫০ থেকে ৭০টি জাহাজ ও সাবমেরিন রয়েছে। এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তির উপস্থিতিকে প্রতিনিধিত্ব করে এই ফ্লিট।
চীনের উল্লেখিত সামরিক মহড়া প্রসঙ্গে ভাইস অ্যাডমিরাল কার্ল থমাস সিঙ্গাপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ধরনের বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ হলো ঘরের ভেতর গরিলা ঢুকে পড়া। এই গরিলা তাইওয়ানে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। তাইওয়ানের ওপর দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া কা-জ্ঞানহীন কারবার।’
চীনের ওই সামরিক মহড়ার কারণে জলপথে পণ্য সরবরাহ ও আকাশপথে চলাচল বেশ ব্যাহত হয়েছে। তাইওয়ান একে ‘অবরোধ’ বলে অভিহিত করেছিল। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাইওয়ানের জন্য কোনো প্রত্যক্ষ হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হয়নি, তাইপে অভিযোগ তুলেছিল, এর মধ্য দিয়ে বেইজিং আসলে তাইওয়ানে আগ্রাসন চালানোর মহড়া দিয়েছে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাইওয়ানের সাতজন ব্যক্তির পর চীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব ব্যক্তি তাইওয়ানের স্বাধীনতার ব্যাপারে ‘অন্যায়রকম সোচ্চার’ বলে বেইজিং তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।