সোমবার আইনজীবীরা আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিতে এবং তাকে সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হওয়া থেকে আজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একজন বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার এক বন্ধু ও সহযোগীকে সরকারি নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পাইয়ে দেয়ার জন্য একটি আপরাধমূলক যড়যন্ত্র করছিলেন।
আইনজীবী দিয়েগো লুসিয়ানি, ফার্নান্দেজ-এর বিচার কালে তার সমাপনী যুক্তি-তর্কে বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত জানা, দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। ২০১৯ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ফার্নান্দেজ ২০০৭ এবং ২০১৫ সালে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন।
লুসিয়ানি বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথিত জালিয়াতির কারণে দেশের কফি চাষীদের প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।
তিন বছরের বিচারপ্রক্রিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জোরালোভাবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, বিচারকরা ইতোমধ্যেই তার সাজা ‘লিখে ফেলেছেন এবং এমনকি স্বাক্ষর দিয়ে দিয়েছেন’।
৬৯ বছর বয়সী ফার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দক্ষিণ সান্তা ক্রুজ প্রদেশের সড়ক নির্মানের জন্য ৫১টি সরকারি কাজের ঠিকাদারি দিয়েছিলেন লাজারো বায়েজ-কে। এসব কাজের অনেকগুলোই শেষ হয়নি।
আইনজীবীরা বলেছেন সাবেক ব্যাংক কর্মচারী বায়েজ সরকারি নির্মাণ কাজের একজন মোঘলে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় দরপত্র জেতার উপায় হিসেবে অস্ট্রাল কনস্ট্রুসিওনেস নামে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ফার্নান্দেজ প্রশাসনের সময় গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী জুলিও ডি ভিদো এবং বায়েজ ছাড়া আরো ১২ জনকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বছরের শেষ নাগাদ এই মামলায় সাজা ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা