বিশ্বে গণতন্ত্র সূচকে এক লাফে ১০ ধাপ পিছিয়ে গেল ভারত৷ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে গণতন্ত্র সূচকে ভারতের স্থান বিশ্বে ৫১৷ ২০১৮ সালে ৬.৯ পয়েন্ট নিয়ে ভারত ছিল ৪১ নম্বর স্থানে৷ ২০১৯ সালে ৭.২৩ পয়েন্ট নিয়ে আরো পিছিয়ে ৫১তম৷ যার নির্যাস, ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিরিখে শোচনীয়৷ রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারত ‘ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র৷’
২০০৬ সাল থেকে এই সূচক মাপা শুরু হয়েছে৷ এ বারই ভারতের র্যাঙ্ক সবচেয়ে খারাপ৷ ৫টি ক্যাটেগরির নিরিখে এই সূচক মাপা হয়েছে৷ নির্বাচনী প্রক্রিয়া, সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক স্বাধীনতা৷ ০ থেকে ১০-এর মধ্যে স্কোর বেঁধে দেয়া হয়৷ এছাড়া পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, হাইব্রিড গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র, এই চারটি বিভাগ রাখা হয়৷ তার মধ্যে ভারতকে ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্রের কোটায় রাখা হয়েছে৷
দেখা গেছে, ২০১৪ সাল থেকেই ভারতের গণতন্ত্র সূচক কমতে শুরু করেছে৷ এর মধ্যে ২০১৬ সালে সামান্য বেড়েছিল৷ ২০১৪ সালে বিজেপি যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতের গণতন্ত্র সূচক ৭.৯২ ছুঁয়ে ছিল৷ যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ৷ তারপরেই কমতে শুরু করে৷ ৭ পয়েন্টের নিচে এই প্রথম হল৷
বলা হয়েছে, ‘৩৭০ ধারা বাতিলের আগে জম্মু-কাশ্মিরে বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। সেখানে কার্ফু জারি, রেকর্ড সংখ্যক দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখা, হাজার হাজার কাশ্মিরিকে অনৈতিকভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারতের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ।’
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, নতুন নাগরিকত্ব আইনে ক্ষুব্ধ দেশের মুসলিম সমাজের বড় অংশ৷ বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ চলছে৷ পূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে চিলি, ফ্রান্স, পর্তুগাল৷
উদ্বেগের বিষয় হলো, বিশ্বের এক তৃতীয়াংশের বেশি দেশই একনায়কতন্ত্রের ক্যাটেগরিতে পড়েছে৷
সূত্র : এনডিটিভি