‘আমার ছেলের পুলিশে চাকরির কথা চলছে। সব প্রস্তুতি শেষ। কিন্তু সেই চাকরি আর করা হলো না।’ চাপা কান্নায় এমনই কথা বলছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সালমানের বাবা আলমগীর হোসেন।
সম্প্রতি যশোরে পরিবহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন তিন বন্ধু আসিফ (১৯), আরমান হোসেন (১৮) ও সালমান (১৯)। তাদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় এখন শোকের ছায়া বিরাজ করছে। বিলাপ চলছে এই এলাকার দুর্গাপুর ও এড়েন্দা গ্রামে।
জানা যায়, প্রতি শুক্রবারের মতো গতকালও বন্ধুরা মিলে মোটরসাইকেলে ঘুরতে যান পাশের এলাকা ঝিকরগাছায়। ঘোরাফেরা শেষে রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে নতুনহাট স্টোন ইটভাটার সামনে পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি পরিবহন তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের এড়েন্দা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আসিফ, দুর্গাপুরের নাজির আলীর ছেলে আরমান ও আলমগীর হোসেনের ছেলে সালমান। তারা তিনজনই স্থানীয় নতুনহাট পাবলিক কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
দুর্ঘটনার খবরে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা সালমানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও অপর দু’জনকে ঝিকরগাছা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার জসিম উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সালমানের মৃত্যু হয়েছে। তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।