ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ সহজ হলেও জোর করে কেউ বুথে ঢুকে জাল ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ। তাই ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের সময় এই দিকটির দিকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম এর নির্বাচন পর্যবেক্ষক কর্মশালায় তিনি এ আহবান জানান।
কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, বর্তমানে যে ইভিএম পদ্ধতি চালু হয়েছে, প্রযুক্তির আধুনিকায়নের এই যুগে তা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে যা শোনা যাচ্ছে তা হল, একজন ভোটারের ভেরিফিকেশন হওয়ার পর অন্য কেউ দৌড়ে বুথে ঢুকে ভোট দেয়ার আশঙ্কা। পর্যবেক্ষকদের এই দিকে নজর রাখতে হবে।
কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের একটি কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় বসে না থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কেউ অন্যায় ও অবৈধভাবে ভোট দেয়ার চেষ্টা করছে কি না, পর্যবেক্ষকদের কাজ হবে সেই বিষয়টি দেখা। এই ক্ষেত্রে কখনই বিতর্কে জড়ানো যাবে না। পর্যবেক্ষকদের কিছু বলার থাকলে তা বলতে হবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে। দায়িত্বপালনকালে অনেক পর্যবেক্ষককে নিয়মভঙ্গ করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এই সাবেক কমিশনার।
কর্মশালায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকেরই কোনো না কোনো দলের প্রতি সমর্থন থাকতে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন নির্বাচন পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব পালনের সময় দল বা পক্ষ ভুলে যেতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রতিনিধির সঙ্গে খুব সখ্য দেখানো যাবে না।
এবারের ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা নেই উল্লেখ করে রিয়াজুল বলেন, নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা খুব একটা দেখা যায়নি। পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কমিশন আপনাদের জন্য একটি গাইডলাইন ঠিক করেছে। সর্বদা তা অনুসরণ করেই কাজ করতে হবে। অন্যথায় নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।