ঈমানদার বিপদ-আপদে ধৈয্যহারা আর আনন্দ সংবাদে আল্লাহকে ভূলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ ও আখেরাতের চিন্তার লালন করতে হবে। গত ১০ অক্টোবর উডসাইডে মাদানী মসজিদে কিয়ামুল লাইল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুনার ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, দুনিয়া জীবন খুবই সীমিত, মানুষের আসল স্থান হলো আখেরাত। আখেরাতের অনন্ত জীবন সুন্দর ও স্বার্থক করার লক্ষ্যে দুনিয়াতে অনৈতিক কাজ পরিহার করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। মুনা জ্যাকসন হাইটস ও এলমহাস্ট চ্যাপ্টারের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মমিনুল ইসলাম মজুমদার, পরিচালনা করেন কায়কোবাদ কবির। বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন মুনার ন্যাশনাল মজলিশ শুরার সদস্য মাওলানা তোয়াহা আমিন খান। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নাসির উদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হোসেন।
কুরআর-হাদীসের উদারণ দিয়ে ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট বলেন, আল্লাহপাক ও রাসুলে করিমের (সা.) আখেরাত সম্পর্কে বারংবার হুঁশিয়ার থাকা সত্ত্বেও আমরা পার্থিব জগতের মোহ-মায়াজালে পড়ে, ঘর-সংসার, পরিবার-পরিজন, অর্থ-সম্পদ নিয়ে বিভোর থাকি। শুধু তাই নয়; আমাদের জীবনের অধিক সময় দুনিয়ায় বেঁচে থাকার ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং এর জন্য নানা ধরনের কসরত করি। আমাদের মন-দিল আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর সমর্পণ করি না।
তিনি বলেন, আর ভোগ-বিলাস, আনন্দ-আহ্লাদে সময়ক্ষেপণ নয়। সময় বয়ে যাচ্ছে। বেলা ক্রমে অস্তমিত হওয়ার দিক ধাবিত হচ্ছে। এখন থেকেই আখেরাতের প্রস্তুতিতে পাথেয় সংগ্রহে নিজেকে সমর্পণ করে আল্লাহপাক ও রাসুলের (সা.) সন্তুষ্টি, নৈকট্য অর্জনে সময় কাটিয়ে দিই এবং আল্লাহর নির্দেশমতে, কম হাসি এবং বেশি বেশি কাঁদি। আল্লাহ বান্দার হৃদয় দিয়ে কাঁদা পছন্দ করেন। বিশেষ করে আমরা যেন এই ফরিয়াদ করি- ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্্ইয়া হাসানাতও ওয়াফিল আখিরাতি অয়াক্কিনা আজাবান্নার।’ হে আল্লাহপাক, আমাদের দুনিয়ার ভালাই, মঙ্গল, কল্যাণ দান করো।
মাওলানা তোয়াহা আমিন খান সংগঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর দেয়া বিধান মতে চলা ফরজ। আর যারা দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করে তাদেরকে আরো বেশী বিনয়ী হয়ে চলতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামির বিনয়-ন¤্রতা (খুসুহ-খুজুহ) পছন্দ করেন। খুসুহর কারণে আল্লাহ মানুষের সম্মান বাড়িয়ে দেন।