মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ অন্যতম ধনী দেশ কাতারে বসবাসকারী প্রবাসীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সম্প্রতি কাতার থেকে চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের দায়িত্ব পাওয়া রাষ্ট্রদূত মো: জসিম উদ্দিন এনডিসি। তবে তার দায়িত্ব পালনের সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আবাসন সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠার পাশাপাশি পাসপোর্ট না পাওয়ার হতাশাও ছিল অনেকের।
এ দিকে গত ২৭ অক্টোবর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সাথে বিদায়ী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিন, এনডিসি। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার স্ত্রী শায়লা পারভীন। আরো উপস্থিত ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া বিভাগের পরিচালক ইউসুফ বিন সুলতান ইউসুফ লারেম এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান তনময় ইসলাম। দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বলেন, এ সফর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কাতারে নির্মিত স্টেডিয়াম, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন নির্মাণ খাতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি অন্যান্য ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বলে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে কাতারের আমির বলেন, কাতারের কাছে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। নির্মাণখাত ছাড়াও কাতারের স্বাস্থ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের অবদান আছে। নতুন কিছু ক্ষেত্র, যেমন জ্বালানি, বিনিয়োগ, পর্যটন, ব্যবসা ও কৃষিতে কাতারের সাথে বাংলাদেশের কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাষ্ট্রদূত মো: জসীম উদ্দিনকে গণচীনে তার নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং সাফল্য কামনা করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাতারে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত বুধবার বিকেলে কাতার দোহা থেকে ব্যবসায়ী শাহ আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মো: জসিম উদ্দিন সম্ভবত ৬ নভেম্বর চীনের উদ্দেশ রওনা হতে পারেন। তিনি আসলে অনেক ভালো মানুষ। আমি তার সার্বঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।
উল্লেখ্য, আসন্ন ২০২২ সালের বিশ^কাপ ফুটবল পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে কাতারে। এই বিশ^কাপ আয়োজন ঘিরে বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে চার লক্ষাধিক বাংলাদেশী বসবাস করছেন। এর মধ্যে ফ্রি ভিসাসহ নানা সমস্যার কারণে অনেকে আবার স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারপরও কাতারে যারা আছেন তারা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।