বেজায় চটেছেন মাইকেক ক্লার্ক। বিশ্বকাপে দলের এমন অবস্থা দেখে নিজের রাগ সংবরণ করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক। রীতিমতো ধোঁয়ে দিয়েছেন দলকে। দলের রক্ষণাত্মক পারফরম্যান্সের সমালোচনা করে মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, ‘এই বিশ্বকাপে আমরা কি সেরা ১১ জন আগ্রাসী ক্রিকেটারকে দলে রেখেছিলাম? করে থাকলে আমাদের খেলা এত রক্ষণাত্মক কেন! এই দলের খেলা একদমই অস্ট্রেলীয়দের মতো নয়। এমন মানসিকতা নিয়ে বেশি কিছু করা যায় না। এরকম দলকে দিয়ে ঘর মোছানোও সম্ভব নয়!’
এমনকি আক্ষেপের সাথে প্রশ্ন করেই বসলেন, এটা কি আদৌ অস্ট্রেলিয়ার দল?
গত বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবার সুপার টুয়েলভ পর্বই পাড়ি দিতে পারেনি। বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েও উঠতে পারেনি সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দৃষ্টিকটু হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিজান শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। মূলত সেখানেই পিছিয়ে পড়ে অ্যারন ফিঞ্চের দল। পরের চার ম্যাচে ৩টি জয় পেলেও বৃষ্টি বাঁধায় ইংল্যান্ডের সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় দলটিকে।
মাত্র এক ম্যাচে হারলেও অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স ছিল না অস্ট্রেলিয়ার মতো। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হারতে জিতেছে। বড় সংগ্রহ পায়নি শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও। দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ ক্লার্ক বলেন, ‘আমি মনে করি সাধারণভাবে অস্ট্রেলীয়রা প্রবল চাপের মধ্যে, বড় মঞ্চে সব সময় ভারো করে। সব সময় লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। আমরা হারতে ভয় পাই না।’
আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো তুলনায় দুর্বল দলগুলোর বিরুদ্ধেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ক্লার্ক বলেছন, ‘গোটা ব্যাপারটা আমাকে অত্যন্ত হতাশ করেছে। ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্স দেখলে হতাশা আরো বাড়ছে। কারো মধ্যে আগুন নেই। মাঠে দেখে খুব অলস মনে হচ্ছিল ওদের। বুঝতেই পারছিলাম না, কাদের খেলা দেখছি। দেখে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানকে হারাতেই ওরা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ফেলছে!’