প্রথমবারের মত কালেকটিভ একাডেমি টিউটরিং সেন্টার এবং তাদের মেধাবী, অতি দক্ষ প্রশিক্ষকবৃন্দ ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা সম্মাননা লাভ করেছেন। এ সম্মাননা প্রদান করেছে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ। এ উপলক্ষে গত ১১ নভেম্বর শুক্রবার সিটির জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারের এক পর্বে “জ্ঞানই শক্তি” বিষয়ের বক্তব্য দানকারী অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে একাডেমির চার জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে ট্রফি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী স্টেট টেস্ট এ পারফেক্ট ৪.৫ স্কোর অর্জন করেছে তাদেরসহ অত্যন্ত মেধাবী ৪৫ জনের অধিক শিক্ষার্থীকে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস এর পক্ষ থেকে আউটষ্ট্যান্ডিং এওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” শিক্ষাই আলো, জ্ঞানই শক্তি” উন্নত বিশ্বে মানব কল্যাণে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে অন্ধকার যুগ, প্রস্তর যুগ, বর্বরতার অন্ধকার থেকে মানুষ, মানুষের জন্য জনকল্যাণ মূলক বিজ্ঞানের আলোকে যে আধুনিক সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার পিছনে রয়েছে জ্ঞানময় জ্যোতিময় শক্তি। আমাদের একথা অকোপটে স্বীকার করতে বাধা নেই। আমরা জ্ঞানের শক্তির মাধ্যমে মহাবিশ্বকে জয় করতে পেরেছি এবং আমরা আগামী, আমরাই ভবিষ্যত”। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল “জ্ঞানই শক্তি” এবং এতে অংশগ্রহণ করেন অন্যতম টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠানর কালেকটিভ একাডেমির ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকে সিটির স্পেশালাইজড স্টাইভেসেন্ট, ব্রুকলীন টেক, ব্রঙ্কস সাইন্স স্কুলে রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট ইউএসএ এর সভাপতি শাহ শহীদুল হক (সাঈদ)।
সভার প্রারম্ভে প্রথমে আমেরিকা ও পরে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন তরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেবিবিএর সভাপতি ও মূলধারার রাজনৈতিক নেতা গিয়াস আহমেদ, বিশেষ অতিথি এর্টনী মঈন চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট লিডার এর্ট লার্জ, বিশিষ্ট রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ী ও ইউএনও এ্যাম্বেসেডর নুরুল আজিম, এ্যাসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমারের পাবলিক এ্যাফেয়ার্স পরিচালক সীমা, মেয়র এরিক এডামের প্রতিনিধি ফেবয় এন্ডারসন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, স্মার্ট টেক এর কর্ণধার ও সিইও সরওয়ার আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, কালেকটিভ একাডেমীর পরিচালক শীরিন আকতার, ফীড বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল মুকিত চৌধুরী প্রমুখ। সংগঠনের সভাপতি শাহ শহীদুরল হক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশী আমেরিকান এবং নিউ ইমিগ্রেন্টদের সেবায় নিয়োজিত। আমাদের সকল কর্মকান্ড ব্যতিক্রম। আজ আমার সামনে যারা রযেছে তারা সবাই আকাশের উজ্জ্বল তারকা, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীই আমাদের গর্ব। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব গিয়াস আহমেদ বলেন, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্টের কার্যক্রম বরাবরই প্রশংসার দাবীদার আজকের অনুষ্ঠান প্রশংসার দাবদীর। এর্টনী মঈন চৌধুরী বলেন আজকের আলোচ্য বিষয় সত্যিই চমৎপ্রদ, ছাত্রছাত্রীগণ ভবিষ্যত সাফল্য অর্জন করে দেশের কল্যাণে অর্থাৎ মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে জনকল্যাণ মূলক কাজ করবে এ প্রত্যাশা করি। সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশী আমেরিকান কম্যূনিটি খুবই শক্তিশালী, মেয়র আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন। আরও বক্তব্য রাখেন স্মার্টটেক এর সিইও কাউসার আহমেদ, জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, কালেকটিভ একাডেমীর পরিচালক শিরীন আকতার, বাংলাদেশ আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, ফীড বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিচালক আব্দুল মুকিত চৌধুরী।
অতপর বিচারক মন্ডলীদের যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং অন্যান্য মেধাবী প্রায় ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্টের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অতিথি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব নুরুল আজিম। অনুষ্ঠান পরিচালন করেন বাংলাদেশ থেকে আগত নৃত্য শিল্পী ও বর্তমান ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটিতে অধ্যয়নরত আমিনা খাতুন।
উল্লেখ্য, কালেকটিভ একাডেমি নিউইয়র্কের কমিউনিটিতে বিপুলভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ষ্টেট সিনেটরের এওয়ার্ড পেয়েছে। এছাড়াও ষ্টেট সিনেটরের এওয়ার্ড পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মেধাবী শিক্ষকবৃন্দ ও বেশ ক’জন কৃতি শিক্ষার্থী। কালেকটিভ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শিরীন আক্তারের ছেলে মোহাম্মদ রহমান “স্যাট” (ঝঅঞ) এ পারফেক্ট স্কোর করে নিউ ইয়র্ক ষ্টেট সিনেটরের কাছ থেকে টালেন্টেড এওয়ার্ড পেয়েছে। শিরীন আক্তারের মেয়ে রিদওয়ানা রহমান “এসএইচএসএটি” (ঝঐঝঅঞ) এ ৭০৪ স্কোর ও ষ্টেট টেষ্টে পারফেক্ট ৪.৫ স্কোর করে স্টাইভেস্যান্ট হাই স্কুলে অধ্যয়ন করছে। রিদওয়ানা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বারের মত দুই জন ষ্টেট সিনেটর, এসেমব্লি মেম্বর, ও বোরো প্রসিডেন্টের কাছ থেকে ট্যালেন্টেড এওয়ার্ড লাভ করলেন। এছাড়া একাডেমির যেসব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ‘স্যাট’এ ১৫৮০ স্কোর, ‘পিএসএটি’ (চঝঅঞ) ও এপি টেস্ট (অচ ঞবংঃ) এ পারফেক্ট স্কোর অর্জন করে কর্নেল, উপেন, এন ওয়াই ইউ ও ফোর্ডহাম ইউনিভার্সিটি তে মেরিট ও ফুল স্কলারশীপ পেয়ে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী অ্যায়ন করছে তারাও ষ্টেটসিনেটরের এওয়ার্ড পেয়েছে। হান্টার এডমিশন টেষ্টে টপ স্কোর করেছে কালেকটিভ একাডেমির শিক্ষার্থী তাজনিয়া রহমান। অধিক সংক্ষক ছাত্রছাত্রী “এসএইচএসএটি” এ টপ স্কোর করে ষ্টাইভেস্যান্ট হাইস্কুল এবং ব্রঙ্কস সায়েন্স হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
এরকম একটি বিরল কৃতিত্বে কালেকটিভ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শিরীন আক্তার একাডেমির টিমের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সকল কৃতিত্বের কালেকটিভ একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শিরীন আক্তার মহান আল্লাহ তা’আলার দরবার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছেন।