মিশিগানে মাস ছয়েক আগে ব্যাংক মর্টগেজ রেট কম থাকলেও বাড়ির মূল্য চড়া ছিল। এখন দাম সাড়ে ১০ শতাংশ কমেছে। এর কারণ হিসেবে বাড়ি ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকা এবং ব্যাংক মর্টগেজ রেট ৭ শতাংশ হওয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংক লভ্যাংশের হার দ্বিগুণ হলেও বাড়ির বিক্রির দামদরে ক্রেতারা ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। ডাউনপেমেন্ট বেশি দিলেও বাড়ির দামে ছাড় মিলছে।
ব্রোকাররা বলেন, মাস চারেক আগে একটা ঘর কেনায় কমপক্ষে ১৫ জন ক্রেতা প্রতিযোগিতা করতেন। সেই জায়গায় এখন ১টা কিংবা ২টা প্রস্তাব আসছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ওয়ারেন সিটির আলশাহী প্যালেস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ব্রোকার ও ক্রেতাদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানা গেছে।
ক্যানটন সিটির অফিস উদ্বোধন এবং ইন হাউজ মর্টগেজ কোম্পানি ইসলামিক ফাইন্যান্স পরিকল্পনাবিষয়ক এক সেমিনার করে আমিন রিয়েলেটি। এতে জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী, ব্রোকার, রিয়েলেটর, ব্যাংক লোন কর্মকর্তা, বাড়ির ক্রেতা-বিক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে ঘরবাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তর দেন আমিন রিয়েলেটির ফাউন্ডার সৌমিক আমিন, ট্রয় লোকেশনের পার্টনার নাবিল সাঈদ, পার্টনার (ইজিপি) জোসেফ কাসিস, ক্যানটন লোকেশনের পার্টনার জুবেল আহমদ ও হ্যামট্রামিক লোকেশনের পার্টনার মাসুম আহমেদসহ অনেক ব্রোকার।
মাসুম রিয়েল এস্টেট গ্রুপের কর্ণধার মাসুম আহমেদ বলেন, বাড়ির দাম আগের চেয়ে তুলনামূলক কমেছে। তিন-চার মাস আগেও একটা ঘর কিনতে কমপক্ষে ১৫ জন ক্রেতা প্রতিযোগিতা করতেন। সেই জায়গায় এখন ১টা কিংবা ২টা প্রস্তাব পড়ছে। এখন বাড়ি কেনায় লাভবান হচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া বাড়ি কেনায় প্রতিযোগিতা কম থাকায় ক্রেতাদের সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে।
বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে হাউজিং ব্যবসায় সবচেয়ে নামি-দামি কোম্পানি আমিন রিয়েলেটি। এ কোম্পানির অধীনে ২০০ এজেন্ট রয়েছে। গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানির ৪ নম্বর অফিস ক্যানটন উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া ইন হাউজ মর্টগেজ কোম্পানি ইসলামিক ফাইন্যান্সিং সেবা কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এ কোম্পানি।
কোম্পানিটির সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সেবা কার্যক্রম খুব শিগগিরই চালু হবে।