আমেরিকার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত বিজয় মুহূর্তকে বিশেষভাবে উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশনস অব বাংলাদেশী ইউনিভার্সিটিজ এর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর হিসেবে তিনি এবারের বিজয় দিবসে ‘বিজয়ের বায়ান্ন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এই উদযাপনের ভেতর দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, যুদ্ধেও বীরত্বগাথা ও ঘটনাগুলোকে সবার সম্মুখে তুলে ধরা হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় নিউইয়র্কের উডসাইট এর গুলশান টেরাস-এ শুরু হবে বিজয় উৎসব। অনুষ্ঠান চলবে রাত ১২টা অবধি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের মাউন্টেইন ব্যাটালিয়ান কমান্ডার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের একান্ন বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যথেচ্ছা বিকৃত করা হয়েছে। একেকটি রাজনৈতিক দল ব্যক্তি ও পরিবারচর্চার মাধ্যমে ইতিহাসের আংশিক ও বিকৃত তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে আমাদের দেশ ও জাতি লক্ষভ্রষ্ট ও বিভ্রান্ত হয়েছে। দেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ দেখেনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বলেন, যে বৈষম্য, দুঃশাসন ও অনাচারের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিসংগ্রামের চেতনার গোড়াপত্তন, স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সেই বৈষম্যকেই বছরের পর বছর লালন করেছি। আমরা পরিবারতন্ত্রকে লালন করেছি। আমরা জাতীয় সংসদের পবিত্রতা নষ্ট করেছি। এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ও সংগঠকদেরকে অবমূল্যায়ণ করতে করতে পরিকল্পিত বিস্মৃতির মুখে ঠেলে দিয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট যারা গড়েছেন, যুদ্ধে যারা সরাসরি সম্মুখে থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে তাদের বীরত্বগাঁথা ও গৌরবোজ্জল অবদানকে আমরা পর্দার আড়ালে ঠেলে দিয়েছি। ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে আমাদের রাজনীতি ও সমাজ তথা গোটা জাতি। এখন সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পথে ফিরিয়ে আনার।