ম্যাচ হেরে রাগে ১৪ বছরের কিশোরের ফোন মাটিতে আছড়ে ভেঙে দিয়েছিলেন। এর ফলে তাকে দু’ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পরও সরেনি সেই শাস্তির খাঁড়া। আল নাসেরের হয়ে বৃহস্পতিবার খেলা হচ্ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
আল তায়ের বিরুদ্ধে তার অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আপাতত তা হচ্ছে না। ২০২২-এর এপ্রিলে গুডিসনে পার্কে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এভার্টনের কাছে হারের পর সাজঘরে ফেরার সময় কিশোর ভক্তের মোবাইল আছড়ে ভেঙে দেন রোনালদো। প্রিয় নায়ককে হাতের কাছে দেখতে পেয়ে ছবি তোলার জন্য মোবাইল বাড়িয়েছিল ১৪ বছরের জেকব হার্ডিং। ম্যাচ হেরে যাওয়ায় মাথা গরম ছিল রোনালদোর। রাগে ফোনটা টেনে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। জেকবের মা সারাহ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রোনালদোর উপর। এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন রোনালদো। মারসেসাইড পুলিশ তাকে ডেকে সতর্কও করে দিয়েছিল। আলাদা করে তদন্তে নামে এফএ। সেই তদন্তেই তার ওপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। দুই ম্যাচ বহিষ্কার করা হয় তাকে।
রোনালদো ভেবেছিলেন, এই শাস্তি কাটিয়ে ফেলবেন। কিন্তু শীতকালে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ম্যানইউ বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচ খেলে ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে এবং বিশ্বকাপের পরে প্রথম ম্যাচ খেলে বার্নলের বিরুদ্ধে। ম্যানইউয়ের সাথে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই দু’টি ম্যাচেই দলে ছিলেন না রোনালদো। ফলে ওই নিষেধাজ্ঞা তার নতুন ক্লাবের প্রথম দু’টি ম্যাচেই কার্যকর হবে।
প্রিয় খেলোয়াড়ের খেলা দেখতে মাঠ ভরাবেন বলে ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮ হাজার আল নাসের সমর্থক আল তায়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন। আপাতত তাদের আশায় পানি ঢেলে দিলো রোনালদোর দুই ম্যাচ নির্বাসন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা