প্রত্যাশা মেটাতে পারল না খুলনা টাইগার্স। নামে-ভারে বেশ শক্তিশালী দল হলেও হার দিয়েই শুরু করল এবারের আসর। বিপরীতে জয় দিয়ে আসর শুরু করল ঢাকা ডমিনেটর্স। খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিতেছে রাজধানীর দল। এর আগে আল আমিনের ৪ উইকেট শিকারে মাত্র ১১৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস, ৫ বল বাকি থাকতেই যা ছুঁয়ে ফেলে ঢাকা।
১১৪ রানের ছোট লক্ষ্যেও বেশ ভুগতে হয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্সকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো খেলা ঘুরেও যেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক নাসিরের ব্যাটে জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা। নাসির অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৩৬ রানে। আর ওপেনিংয়ে নেমে ২৮ বলে ২২ রান করেছেন দিলশান মুনাবিরা। তবে আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ রিটায়ার্ড হার্ট আউট হন দলীয় ১১ রানে।
সৌম্য সরকার ভালো শুরু করেও ধরে রাখতে পারেননি, আউট হয়েছেন ১৩ বলে ১৬ রান করে। অন্যদিকে ব্যর্থ ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন, ৮ রান করে আউট হন তিনি। ১২ ওভারে ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খায় ঢাকা, এর মাঝে আবার শেহজাদ বাধা পড়েছেন চোটে। তবে সেখান থেকে নাসির হোসেন ও উসমান ঘানি ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন। উসমান ১৪ করে আউট হলেও বিপদ হয়নি, শেষ দিকে আরিফুলের সাথে ১০ বলে ১৭ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেন নাসির৷
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কোনোরকমে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে খুলনার ইনিংস। ঢাকা ডমিনেটর্সের বোলিং তোপে ৮ উইকেটে মাত্র ১১৩ রানেই থামল খুলনার ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছে অধিনায়ক ইয়াসির আলীর ব্যাটে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩২ রানে খুলনা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। খুলনার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির, শারজিল খানকে ফেরান ৭ রানে। ৪ রান করে আল আমিনের শিকার হন মুনিম শাহরিয়ার আর তামিম ইকবালকে ফেরান আরাফাত সানি। ১৫ বলে মাত্র ৮ রান করেন তিনি।
প্রথম ১০ ওভারে আসে মাত্র ৪৯ রান, বিনিময়ে খুলনা উইকেট হারিয়ে ফেলে ৪টি। মাঝে আজম খান আউট হন ১২ বলে ১৮ রানে৷ এরপর সাইফুদ্দীনকে সাথে নিয়ে অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালান। তবে ইয়াসির ২৪ করে আউট হলে ভাঙে দু’জনের ৩১ রানের জুটি। ইয়াসির আউট হবার পর খুলনা আর দাঁড়াতেই পারেনি, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা।
সাইফুদ্দীন ও সাব্বির রহমান মাঠে থাকলেও কার্যকরী কিছু উপহার দিতে পারেননি। সাইফুদ্দীন ২৮ বলে ১৯ করে আউট হলেও সাব্বির অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ১১ রানে। এছাড়া শেষদিকে নাহিদুল ইসলাম ৭ ও ওয়াহাব রিয়াজ করেন ১০ রান। ফলে ১১৩ রানেই থামে খুলনার ইনিংস। জয়ের জন্য ঢাকা ডমিনেটর্সকে করতে হবে ১১৪ রান।