শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

১১ বছরেও শেষ হয়নি জুবায়ের হত্যার বিচার

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১০৫ বার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১২ সালে ছাত্র অসন্তোষ কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের ৩৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচ আসামি এখনো পলাতক। এই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১ জন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ১ জন ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত বাকি পাঁচজনই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

সোমবার রাতে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভায় অভিযুক্তদের শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানান তারা।

জানা যায়, জুবায়ের হত্যা মামলায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ বিচার কাজ চলার পর ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগের রাশিদুল ইসলাম রাজু; প্রাণিবিদ্যা বিভাগের আশিক, সোহান, জাহিদ এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের আকরামকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসির রায় দেয় আদালত। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম আপিল করেন, অপর চার আসামি পলাতক রয়েছে।

অভিযুক্ত অপর ছয় শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দর্শন বিভাগের অরূপ ও কামরুজ্জামান সোহাগ, প্রাণ রসায়ন বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু, পরিসংখ্যান বিভাগের অভিনন্দন কুণ্ডু ও সফিউল আলম সেতু এবং ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম।

এদের মধ্যে সোহাগ, মাজহারুল, সেতু, কুন্ডু ও তপু আদালতে রায় ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন। পরবর্তীতে এদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর ঢাকার আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলে প্রেরণের নির্দেশ দিলে আশিক, আকরাম, অরূপ ও সোহান কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন তারা। অভিযুক্তদের মধ্যে রাজু ও জাহিদ সেদিন আদালতে হাজির হননি। রাজু পরবর্তীতে আত্মসমর্পণ করলেও জাহিদ পলাতক রয়েছেন।

পরে ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ সালে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত চার আসামিকে খালাস দেয়। খালাস প্রাপ্তরা হলেন- মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম, কামরুজ্জামান ও অভিনন্দন কুণ্ডু। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত ইশতিয়াক মেহবুব পলাতক রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ‘আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন একটা শিক্ষাঙ্গনে আর কোন ছাত্রের প্রাণ যাক। প্রশাসন চাইলে আসামিদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে পারে।’

আসামিদের দ্রুত বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘১১ বছরেও জুবায়ের হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়নি। এটা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ৮ জনুয়ারি জাবি শাখা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com